চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি আরবগামী এক যাত্রীর কাছ থেকে ১০ হাজার ৮০০ ই-য়াবা জব্দ করেছে সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা বিভাগ।
মঙ্গলবার সকালে বিমানবন্দরে মো. ইউনুছ নামের ওই যাত্রীর লাগেজে ই-য়াবাগুলো পাওয়া যায়।
বাঁশখালীর বাসিন্দা ইউনুছ ওমরাহ করতে সৌদি আরব যাচ্ছিলেন।
শাহ আমানতের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারোয়ার ই জামান বলেন, এয়ার এরাবিয়ার একটি বিমানে শারজাহ হয়ে ইউনুছের জেদ্দা যাওয়ার কথা ছিল। তার সঙ্গে থাকা লাগেজ তল্লাশী করে ১০ হাজার ৮০০ ই-য়াবা উদ্ধার করা হয়। ওমরাহ করতে যাচ্ছিল বলে সে জানিয়েছে। আসলে কেন যাচ্ছিল তা তদন্ত সংস্থা খতিয়ে দেখবে।
এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ইউনুছকে পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফ্লাইওভারের নিচে আটকে যাওয়া উড়োজাহাজ দেখতে জনতার ঢল!
কয়েক দিন আগেই পশ্চিম বঙ্গের যশোর রোডে উড়োজাহাজ ঢুকে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। গতকাল সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে আবারও বিপাকে পড়ল সেই উড়োজাহাজটি। এবার তা আটকে গেল সেখানকার দুর্গাপুরের ফ্লাইওভারের নিচে। এমন অবাক করা দৃশ্য দেখতে ভোর থেকেই এলাকায় স্থানীয়দের ভিড় জমে যায়।
গত শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর একটি ট্রাকে করে দমদম থেকে উড়োজাহাজটি রওনা দিয়েছিল যশোর রোড ধরে। এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ সেটি। ডাক বিভাগের ভারতীয় ছাপও রয়েছে তাতে। সেটিকে নিয়েই বিরাট আকৃতির ট্রাকটি চলেছিল জয়পুরের উদ্দেশে।
যার জেরে মোটামুটি বাকি সব যানবাহনের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়। বি’পত্তি বাড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাকটি যখন ডিভাইডারে আটকে যায়। মাঝ রাতে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয় যশোর রোডে। হিমশিম খাওয়ার দশা হয় পুলিশের। খবর দেয়া হয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে বিশালাকৃতির ক্রেন।
পরে দু’টি ক্রেনের সাহায্যে সেখান থেকে তা কোনওক্রমে বের করে আনা গেলেও সোমবার গভীররাতে আবারও রাস্তার মাঝে আটকে যায় উড়োজাহাজটি।
২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কাছে একটি ফ্লাইওভারের নিচে আটকে যায় উড়োজাহাজের মাথা। খুলে যায় উড়োজাহাজের চাকা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আজ মঙ্গলবার সকালে ক্রেনের সাহায্যে তা জটমুক্ত করার চেষ্টা চলছিল।
এদিকে, রাস্তায় আটকে গেছে উড়োজাহাজ- এমন দৃশ্য তো সচরাচর দেখা যায় না। তাই তা দেখতে ফ্লাইওভারের উপর ভিড় জমান স্থানীয়রা। ফলে এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
উড়োজাহাজটি ভারতীয় ডাক বিভাগের বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে। সেটি এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং। অনেকদিন আগেই বাতিল করা হয়েছিল সেটিকে। একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে উড়োজাহাজটি বিক্রি করা হয়েছিল।
গত শুক্রবার হ্যাঙার থেকে নামিয়ে সেটিকে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অ্যালুমিনিয়াম নিষ্কাশনের জন্য। কিন্তু যাওয়ার পথে বারবারই বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে সেই পেল্লাই উড়োজাহাজ।