মানুষের মাথা রিপ্লেস করতে সক্ষম হয়েছেন নিউরোসার্জনরা!

0

বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক:

মানব শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মত মাথা প্রতি’স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন নিউরোসার্জনরা। চীনের একটি গবেষণাগারে এই পরীক্ষা সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন ইতালিয়ান নিউরোসার্জন সের্গিও ক্যানাভেরো। গবেষণাটি চালানো হয় ২ বছর আগে।

একই সাথে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই একজনের মাথা আরেকজনের মাথায় প্রতি’স্থাপন সম্ভব হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের ম্যাথু এনএইচএস ট্রাস্টচালিত হাল ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালের সাবেক নিউরোসার্জন ব্রুস ম্যাথু।

তবে এখন যেভাবে স্পাইনাল কর্ড বা মেরুদণ্ড থেকে মাথা বিচ্ছি’ন্ন করে রিপ্লেসমেন্টের চেষ্টা চলছে, তা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন এনএইচএসের এ সার্জন। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।

তার দাবি, মাথা প্রতি’স্থাপন করতে হলে মেরুদণ্ডসহ করতে হবে। অত্যাধুনিক স্টেমসেল প্রতি’স্থাপন, রোবটিক ও স্নায়ু সার্জারির সৌজন্যেই এ সাফল্য মিলবে।

কীভাবে মাথা প্রতি’স্থাপন করা যায় তা নিয়ে জোর গবেষণা চলছিল বিগত কয়েক বছর ধরেই। তবে আদৌ জীবিত মানুষের মাথা প্রতি’স্থাপন সম্ভব কিনা, তা নিয়ে বিত’র্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ মনে করেন, এটি বাস্তবে সম্ভব নয়। কিন্তু নিউরোসার্জন ব্রুস ম্যাথুর দাবি, এটি অ’সম্ভব নয়।

২ বছর আগে ইতালীয় নিউরোসার্জন সের্গিও ক্যানাভেরো দাবি করেন, তার নেতৃত্বে চিকিৎসক দল প্রথমবার সফলভাবে মানুষের মাথা প্রতি’স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিস্ময়কর।

তবে জীবিত মানুষের মাথা প্রতি’স্থাপন করেননি তিনি। চীনের গবেষণাগারে দুটি মৃ’ত মানুষের মাথা প্রতি’স্থাপন করেছিল ওই চিকিৎসক দলটি।

ইতালীর নিউরোসার্জন সের্গিও ক্যানাভেরো দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছিলেন, এক মানুষের শরীরে অন্য মানুষের মাথা প্রতি’স্থাপন করা সম্ভব।

কিন্তু ইউরোপ বা আমেরিকার কোনো দেশের সরকারই তাকে এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ দিতে চায়নি।

নৈতিক কারণেই এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয়া হয় ক্যানাভেরোকে। ফলে গবেষণার প্রয়োজনে চীনে গিয়েছিলেন ইতালীর ওই নিউরোসার্জন।

২ বছর আগে সংবাদ সম্মেলন করে গবেষণায় সাফল্যের কথা জানান ক্যানাভেরো। তিনি দাবি করেন, চীনের গবেষণাগারে সফলভাবে মানুষের মাথা প্রতি’স্থাপিত হয়েছে। দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা সময় ধরে চলে ওই প্রতি’স্থাপন। তার সঙ্গে ছিলেন চীনা চিকিৎসক রেন শিওয়াপিং।

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ক্যানাভেরো জানান, এক মানুষের শরীরে অন্য মানুষের মাথা সফলভাবে প্রতি’স্থাপিত হয়েছে।

মেরুদণ্ড, স্নায়ু ও ব্লাড ভ্যাসেলগুলো সফলভাবে জুড়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে। তবে এই পরীক্ষামূলক প্রতি’স্থাপন জীবিতদের শরীর ব্যবহার করে হয়নি। তবে পরে সেদিকেই এগোতে চান বলে জানান ক্যানাভেরো।

* ব্যবহৃত ছবিটি প্রতীকি।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!