বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক:
২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে অ্যাপগুলি সব থেকে বেশি ডাউনলোড হয়েছে তার প্রথম ১০টির তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন সংস্থা ‘অ্যাপ অ্যানি’। তালিকায় থাকা সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়ার ১০টি অ্যাপের সাথে আজ পরিচিত হবো।
তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে ফেসবুক। ২০০৪ সালে প্রথম বাজারে আসে ফেসবুক। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা ২৪৫ কোটির বেশি। যা প্রতিদিন বাড়ছেই।
এরপর ২য় সর্বোচ্চবার ডাউনলোড হয়েছে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার অ্যাপটি। হোয়াটসঅ্যাপের থেকেও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এই অ্যাপটি। ২০১১ সালে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস প্ল্যাটফর্মে লঞ্চ করে।
৩য় অবস্থানে রয়েছে ইনস্টাগ্রাম। ফেসবুকের মালিকানাধীন জনপ্রিয় ছবি ও ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ এটি। ২০১০ সালের ৬ অক্টোবর অ্যাপটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়।
স্ন্যাপচ্যাট রয়েছে ৪র্থ অবস্থানে। জনপ্রিয় মাল্টিমিডিয়া ম্যাসেজিং অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাট। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে অ্যাপটির যাত্রা শুরু। অল্প সময়ের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়তা পায় স্ন্যাপচ্যাট।
তালিকার ৫ম অবস্থানে রয়েছে স্কাইপ। জনপ্রিয় টেলিকমিউনিকেশন অ্যাপ এটি। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহার করে গ্রাহকদের ভিডিও চ্যাট, ভিডিও কলের সুবিধা দেয় স্কাইপ।
হোয়াটসঅ্যাপ রয়েছে তালিকার ৬ষ্ঠ অবস্থানে। হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুকের মালিকানাধীন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ। এ অ্যাপটি দিয়ে একাধারে টেক্সট ও ভয়েস ম্যাসেজ পাঠানো যায়। একই সঙ্গে ভিডিও কল, ছবি ও ডকুমেন্ট শেয়ারসহ নানা ধরনের সেবা দেয় অ্যাপটি।
৭ম অবস্থানে রয়েছে টিকটক। ২০১৭ সালে চীনের বাইরের বাজারে আসে এই অ্যাপ। তারপর থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও শেয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি। এই অ্যাপে ভিডিও এডিটও করা যায়। বিশ্বজুড়ে ৪০টি ভাষায় এ অ্যাপ পাওয়া যায়।
ইউসি ব্রাউজার রয়েছে ৮ম অবস্থানে। চীনের আলিবাবা গ্রুপের এই ব্রাউজিং অ্যাপ তালিকায় ৮ম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। ২০০৪ সালের এপ্রিলে ইউসি ব্রাউজার প্রথম বাজারে আসে। ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ এশিয়ার দ্রুতবর্ধনশীল টেক বাজারে গুগল ক্রোমের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার ইউসি।
ইউটিউব অ্যাপটি রয়েছে তালিকার ৯ম স্থানে। গুগলের এই প্ল্যাটফর্মটি ভিডিও শেয়ারের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। ২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা হলেও অল্প সময়ের মধ্যে মার্কিন মুলুক ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এটি।
সর্বশেষ ১০ম স্থান অধিকার করে নিয়েছে টুইটার। ২০০৬ সালের ২১ মার্চ টুইটারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়। ব্যবহারকারীরা এতে ২৮০ বর্ণের মধ্যে কোনো বিষয়ে নিজেদের মনোভাব তুলে ধরে পোস্ট করতে পারেন। পোস্টে যুক্ত করতে পারেন ছবিও।