স্পোর্টস ডেস্ক:
পাকিস্থানের সাবেক লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির একসময়ের অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ। তিনি মনে করেন, টাকার জন্য যে কোনো কিছু বলতে পারে ক্রিকেটে আজীবন নি’ষিদ্ধ কানেরিয়া। তাই ওর প্রতি কোনো বিশ্বাস নেই তার। এখন সে উল্টাপাল্টা বকছে বলে দাবি করেন তিনি।
ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব এসেক্সের হয়ে খেলার সময় কানেরিয়ার বিরু’দ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। ওই সময় তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। যদিও পরে ছেড়ে দেয়া হয়।
এরপর ফের ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন দানিশ। একই সঙ্গে তার বিরু’দ্ধে ম্যাচ পাতানো কাণ্ডের মামলাও চলতে থাকে। ২০১৮ সালে নিজের দোষ স্বীকার করেন তিনি। ফলে তাকে ক্রিকেট থেকে নি’র্বাসনে পাঠানো হয়।
মিয়াঁদাদের মতে, কানেরিয়াকে ক্রিকেটে বিশ্বাসের কোনো জায়গা নেই। তিনি বলেন, সে কী অর্জন করতে চায়, তা আমার বোধগম্য নয়। কিন্তু যদি আপনি কানেরিয়ার ব্যাপারে বলেন, তা হলে আমি বলব সে টাকার জন্য যে কোনো কিছু বলবে। ক্রিকেটে তার কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
তিনি বলেন, আপনি কীভাবে এমন একজনকে বিশ্বাস করবেন যে ক্রিকেটে দুর্নীতির জন্য আজীবন নি’ষিদ্ধ? কে তার নিজ দেশকে অ’সম্মান করেছে? আমি ২০০০ সালের শুরুতে পাকিস্থানের প্রধান কোচ ছিলাম। ওই সময় কানেরিয়া আমার দলের অন্যতম সদস্য ছিল। আমি এমন কোনো ঘটনা দেখিনি, যেখানে তার হিন্দু হওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
সংখ্যা-লঘু বলে পাকিস্থান দলে অ’বহেলিত ছিলেন কানেরিয়া। সম্প্রতি এক টিভি অনুষ্ঠানে এমন বিস্ফো’রক মন্তব্য করেন পাকিস্থানের সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। এমনকি তার সঙ্গে কেউ খাবার খেতে চাইত না বলেও জানান তিনি। পরে এ তথ্য সত্য বলে স্বীকার করেন লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া।
এমন বক্তব্যের বিপরীতে দাঁড়িয়ে মিয়াঁদাদ বলেন, পাকিস্থান কানেরিয়াকে অনেক স্বীকৃতি দিয়েছে। এ দেশের হয়ে ১০ বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে সে। তার ধর্ম নিয়ে কোনো রে’ষারেষি থাকলে কী এটা সম্ভব হত? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি।
পাকিস্থানের হয়ে ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেট খেলেন কানেরিয়া। ৬১টি টেস্টে ২৬১ উইকেট নেন তিনি। আর ১৮টি ওয়ানডে ম্যাচে ১৫টি উইকেট ঝুলিতে ভরেন এ লেগ স্পিনার।