সময় এখন ডেস্ক:
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ তালিকা প্রকাশ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম। আর ঢাকা দক্ষিণে দলটির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের তালিকাটি দেয়া হলো সংবাদের নিচে:
যে কারণে দক্ষিণ সিটিতে মনোনয়ন পেলেন না সাঈদ খোকন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে বাদ পড়লেন বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন। তার পরিবর্তে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসকে।
ঢাকাবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফল না হওয়া ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে না পারাসহ বিভিন্ন কারণে সাঈদ খোকনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় বেফাঁ’স মন্তব্য করে সমালোচিত দক্ষিণের এই মেয়র। রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভ’য়াবহ আকার ধারণ করলে গত ২৫ জুলাই এক অনুষ্ঠানে ডেঙ্গু আক্রা’ন্তের সংখ্যাকে গুজব বলে মন্তব্য করেন মেয়র খোকন।
তিনি বলেন, মশা নিয়ে রাজনীতি কাম্য নয়। সাড়ে ৩ লাখ আক্রা’ন্তের যে তথ্য এসেছে সেটি কাল্পনিক তথ্য। এটা সম্পূর্ণভাবে কাল্পনিক, বিভ্রা’ন্তিমূলক। ছেলে ধরা, সাড়ে ৩ লাখ ডেঙ্গুতে আক্রা’ন্ত- এসব একই সূত্রে গাঁথা। মেয়রের এমন বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দলের ভেতরে সমালোচনা ঝড় ওঠে।
এছাড়া ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর আজিমপুরের পার্ল হারবাল কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন স্থানে আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশের পাশেই মেয়র সাঈদ খোকন পাল্টা কর্মসূচি দেন। পরে ওই সমাবেশস্থলের সামনে ট্রাকে করে সিটি কর্পোরেশনের ময়লা ফেলার ঘটনায় মেয়রকেই দো’ষারোপ করা হয়। ওই ঘটনায় তখন তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও মেয়র খোকনের মধ্যে যে দ্ব’ন্দ্বের সৃষ্টি হয় তা নিয়েও দলীয়ভাবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সাঈদ খোকন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে দলীয় মেয়র পদে প্রার্থী চূড়ান্ত ও কাউন্সিলরদের সমর্থন চূড়ান্ত করতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে বের হওয়ার সময় সাঈদ খোকন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। এ সময় তার চেহারায় মলিনতা লক্ষ্য করা যায়। তাই ধারণা করা হচ্ছে, নানা বিত’র্কিত বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের কারণেই মেয়র খোকনকে দলীয় মনোনয়ন থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের তালিকা:
120