ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়, মানুষের সেবাই মূল লক্ষ্য: শেখ হাসিনা

0

সময় এখন ডেস্ক:

ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করা, তাদের সেবা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীস্থ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্স সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০১৯’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেনাবাহিনীকে একটি যুগোপযোগী, প্রযুক্তিগতভাবে সুসজ্জিত এবং আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। আমরা সবসময় চাই সেনাবাহিনী হবে যুগোপযোগী, আধুনিক ও প্রযুক্তিগতভাবে সুসজ্জিত এবং এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

সেনাবাহিনীসহ সশ’স্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকার গঠন করার পর থেকেই নতুর নতুন পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীতে নারীর অংশগ্রহণও নিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা আমার কাছে কোনো ভোগের বস্তু না, ক্ষমতা হচ্ছে দায়িত্ব পালন। কাজেই সেই দায়িত্বটাই পালন করতে চাই। আমি সব সময় মনে রাখি যে, আমার বাবা দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছে, তাই জনগণের সেবা করাটা আমার প্রথম কর্তব্য।

তিনি বলেন, জনগণের সেবা করাই আমার লক্ষ্য। জনগণকে উন্নত জীবন দেব, খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এটা আমাদের অঙ্গীকার। আর এই অঙ্গীকার আমাদের পূরণ করতে হবে। মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়াই সরকারের মূল লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা যেমন স্বপ্ন দেখতেন বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, আমারও জীবনেও তেমনি লক্ষ্য একটাই বাংলার মানুষের জীবনমান উন্নত করা। বাংলাদেশের দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমি যখন বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছি, সারাদেশে ঘুরে দেখেছি, বাংলার মানুষের দুঃখ দু’র্দশার চিত্র। বাংলার মানুষের জীবন্মান উন্নত করার জন্যে আমার যদি জীবনও যায় আমি তাও পরোয়া করিনা।

তিনি বলেন, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। যেদিন সাধারণ জনগণের জীবন মান উন্নয়ন করতে পারব, সেদিনই নিজেকে সার্থক মনে করব। দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। এর কোনো প্রতিদান চাই না।

প্রধানমন্ত্রী মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৩৪ জন বাংলাদেশি, ২৯ জন সৌদি, ১ জন ফিলিস্তিনি, ১ জন শ্রীলঙ্কানসহ মোট ২৬৫ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন।

শেয়ার করুন !
  • 550
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!