চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ কর্তৃক হঠাৎ করে এক তরফাভাবে তিনটি থানার কমিটি ঘোষণা করায় সৃষ্টি হয়েছে তুমুল বিত’র্ক। বলা হচ্ছে, ছাত্রলীগের একটি পক্ষকে বাদ দিয়ে রাতারাতি কমিটি দেয়া হয়েছে। আর এতে খোদ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভ’ক্তি।
নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষো’ভ দেখা দিয়েছে এক ছাত্রদল নেতাকে আকবর শাহ থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে প্রচার সম্পাদকের পদ দেয়া নিয়ে। এই খবর চাউর হতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে চলছে নানা সমালোচনা।
যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলে অনু-প্রবেশকারীদের বিরু’দ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছেন, স্বাধীনতা এবং মুক্তিযু’দ্ধের চেতনাবিরো’ধী শক্তি তথা বিএনপি, জামায়াতের লোকজনকে দলে ভেড়ানোর বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ঠিক সেই সময় এক ছাত্রদল নেতাকে প্রচার সম্পাদকের মতো দলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছাত্রলীগের কমিটিকে কলু’ষিত করেছেন বলে মনে করছেন মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা না করেই গত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) তড়িঘড়ি করে গণমাধ্যমে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে নগরের বন্দর, পতেঙ্গা ও আকবর শাহ থানা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেন মেয়া’দোত্তীর্ণ নগর কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
আকবর শাহ থানা কমিটির তালিকায় দেখা যায় প্রচার সম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে রাকিবুল ইসলামকে। যিনি একসময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কে’টে উদযাপনের অনুষ্ঠানে তার ছবিও রয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে নানারকম অভিযোগ তুলছেন নেতাকর্মীরা।
এক চিহ্নিত ছাত্রদল নেতাকে ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করে তিনি বলেন- আমি নামাজে আছি, পরে কথা বলবো। কিন্তু পরে কয়েকবার ফোন করলে তিনি আর রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের ২৪ জনের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সংসদ। এর প্রায় ১ বছর পর ২০১৪ সালে ২৯১ জনের সম্মেলনবিহীন কমিটি পেয়েছিল নগর ছাত্রলীগ।
জানা গেছে, বর্তমান নগর কমিটির ৫৬ জন সদস্যই বিবাহিত। দেড়শরও বেশি নেতার বয়স সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নয়। ছাত্রনেতাদের অনেকেই ব্যবসায়ী। বেশ কয়েকজন নেতা পড়ালেখা ছেড়েছেন অনেক বছর।
755