ধান বিক্রিতে কৃষকদের সাথে অ’ন্যায় হলে মাশরাফিকে ফোন

0

নড়াইল প্রতিনিধি:

নড়াইলে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহে প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে কৃষকের তালিকা করা হয়েছে। নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফির পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত কৃষককে ফোন করে খোঁজখবর এবং বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

কৃষকরা যেন দালালের খ’প্পরে না পড়েন, সেজন্য বিভিন্ন পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। খাদ্যগুদামের কর্মকর্তারাও কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। এতে পাল্টে গেছে নড়াইল, নলদী ও লোহাগড়া খাদ্যগুদামের চিত্র।

সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের কৃষক মিন্টু সরকার, সঞ্জিত মহলদার ও অন্নদা বিশ্বাস ১৩ থেকে ২৫ বছর ধরে ধানচাষ করছেন। এবারই প্রথম ধান দিতে সদর উপজেলা খাদ্য বিভাগে (এলএসডি) এসেছেন। তারা জানান, সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার পক্ষ থেকে ফোন করে তাদের লটারিতে ধান দেওয়ার সুযোগ পাওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে। তারা যেন গুদামে গিয়ে ধান দেন, সে ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া কেউ অর্থ দাবি বা খারাপ ব্যবহার করলে জানানোর জন্য দু’টি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। তারা বলেন, আগে কখনও এভাবে কেউ ফোন করেননি।

মাশরাফি বিন মুর্তজার কৃষিবিষয়ক প্রতিনিধি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, অধিকাংশ কৃষক জানেন না তারা তালিকাভুক্ত হয়েছেন। বিষয়টি জানাতে এবং প্রভাবশালী ও কোনো সিন্ডিকেট যাতে গুদামে ধান দিতে না পারে, সেজন্য ক’ষ্ট হলেও কৃষকদের ফোন করা হচ্ছে। এমপির আশা, প্রকৃত কৃষকরা যেন জানতে এবং সরাসরি গুদামে এসে ধান দিতে পারেন। আগামী বোরো মৌসুমেও এ ধারা অ’ব্যাহত থাকবে।

নড়াইল সদর উপজেলা খাদ্যগুদামের (এলএসডি) পরিদর্শক তরুণ বালা বলেন, খাদ্যগুদামের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইকে প্রচার এবং লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। খাদ্যগুদামের দেয়ালেও কৃষকদের তালিকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবারই প্রথম এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্যের প্রতিনিধিরা কৃষকদের ধান দিতে অনেক সহযোগিতা করছেন। না হলে রাঘব-বোয়ালদের ঠেকানো সম্ভব হতো না।

লোহাগড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মান্নান আলী বলেন, এমপির পক্ষ থেকে কৃষকদের ফোন করে গুদামে ধান দিতে উৎসাহিত করা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ। এটি সারাদেশের একটি মডেল হতে পারে। নড়াইল জেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মনিরুল হাসান বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে প্রকৃত কৃষক উপকৃত হবেন এবং প্রভাবশালী ও দালালদের দৌ’রাত্ম্য কমবে।

গত ২৬ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো লোহাগড়া ও সদর উপজেলায় ধান সংগ্রহে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে কৃষকের চূড়ান্ত তালিকা করা হয়। সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৬৮৪ কৃষকের মধ্য থেকে ১ হাজার ৯৭৫ এবং লোহাগড়া উপজেলায় ৬ হাজার ৫০০ কৃষকের মধ্য থেকে ১ হাজার ১৭৫ কৃষককে বাছাই করা হয়েছে।

২৬ টাকা কেজি দরে এ বছর সদর উপজেলায় ১ হাজার ৯৭৫ টন এবং লোহাগড়া উপজেলায় ১ হাজার ৮৮ টন আমন ধান সংগ্রহ করা হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান সংগ্রহ চলবে।

শেয়ার করুন !
  • 2.6K
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!