ফিচার ডেস্ক:
আরেকটি ঘটনাবহুল বছর দেখল বিশ্ব। এ বছর দুর্ঘটনা আর সন্ত্রা’সী হাম’লায় গেছে বহু মানুষের প্রাণ। কাশ্মীর ইস্যু, এনআরসি আর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পুরো বছরই আলোচনায় ছিল ভারত। বিশ্ব নেতাদের মুখে ঘুরে ফিরে এসেছে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু। ব্রেক্সিটের জট অনেকটা কেটেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিনিধি পরিষদে অভিশং’সিত হয়েছেন। নতুন বছরকে বরণের সঙ্গে দেখা নেওয়া যাক বিশ্বে সাড়া ফেলে দেওয়া ঘটনাগুলো।
ক্রাইস্টচার্চ হাম’লা:
বছরের শুরুতেই বড় সন্ত্রা’সী হাম’লার শি’কার হয় নিউজিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে এক বন্দু’কধারীর হাম’লায় ৪৯ জন নিহ’ত হন। ১৫ মার্চের ওই হাম’লায় নিহ’তদের মধ্যে ৩ বাংলাদেশিও ছিলেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জুমার নামাজ চলাকালীন ক্রাইস্টচার্চের উপকূলীয় অঞ্চল রিকার্ক্টন-এর আল নূর মসজিদে প্রথম হাম’লা করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে লিনউড ইসলামিক সেন্টারে হাম’লা করা হয়।
এই হাম’লায় ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ব্রেন্টন হ্যারিসন ট্যারান্টকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার বিরু’দ্ধে হ’ত্যাসহ মোট ৯২টি অভিযোগ আনা হয়।
এ ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে যান নিউজিল্যান্ডে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কয়েকজন খেলোয়াড়। হাম’লার সময় তারা জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন।
শ্রীলঙ্কার চার্চে জ’ঙ্গি হাম’লা
ক্রাইস্টচার্চের হাম’লার রেশ না কাটতেই সন্ত্রা’সী হাম’লা হয় শ্রীলঙ্কায়। ২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোসহ কয়েকটি শহরের ৩টি গির্জা ও ৩টি হোটেলে একযোগে বো’মা বি’স্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ২৯০ জন নিহ’ত হন, আহত হন ৪৫৯ জনের বেশি।
ইস্টার সানডে উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা রোববার সকালে গির্জায় প্রার্থনা করার সময় শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর ১টিসহ দেশটির ৩টি গির্জায় একযোগে বো’মা বি’স্ফোরণ ঘটে। প্রায় একই সময় কলম্বোর ৩টি ৫ তারকা হোটেল– শাংরি লা, সিনামন গ্র্যান্ড ও কিংসবুরিতেও বো’মার বি’স্ফোরণ হয়।
এ সিরিজ বো’মা হাম’লার জন্য স্থানীয় একটি ইসলামপন্থী সংগঠনকে দায়ী করে দেশটির সরকার। যার নেপথ্যে ছিল আইএস।
নটরডেম ক্যাথেড্রালে আগুন
আগুন লাগে প্যারিসের প্রায় ৮৫০ বছরের পুরনো নটরডেম ক্যাথেড্রালে। ১৫ এপ্রিল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আগুন লাগে। আগুনে বিশ্বখ্যাত এ ক্যাথেড্রালের সুউচ্চ চূড়াসহ ছাদ ধ্ব’সে পড়ে।
প্যারিসের ইল ড্য লা সিটিতে অবস্থিত ১২০০ শতাব্দীর তৈরি নটরডেম ক্যাথেড্রালে প্যারিস শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান বলে বিবেচিত।
কাশ্মীর ইস্যু
বছরজুড়েই আলোচনায় ছিল ভারত। কাশ্মীর নিয়ে বিশ্বে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয় দেশটি। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল। ৫ আগস্ট এই ধারা বাতিল করে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার।
জম্মু ও কাশ্মীরকে পুনর্গঠিত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। তার একটি জম্মু-কাশ্মীর, অন্যটি লাদাখ। এর ফলে রাজ্যটি তার বিশেষ মর্যাদা হারায় সেই সঙ্গে হারায় নিজস্ব পতাকা ও স্বশাসনের রক্ষাকবচ।
এই সিদ্ধান্তের পরে কাশ্মীরজুড়ে ব্যাপক বিক্ষো’ভ-আন্দোলন চলে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষো’ভকারীর সং’ঘর্ষে প্রাণহা’নির ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত সেনা। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্থানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে।
আমাজনে আগুন
বছরজুড়েই জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন বিশ্ব নেতারা। এর মধ্যে অন্যতম ছিল পৃথিবীর ‘ফুসফুস’ খ্যাত বিশ্বের সর্ববৃহৎ বনাঞ্চল আমাজন। ভ’য়াবহ দাবানলে পোড়ে আমাজন। এককভাবে সবচেয়ে বড় এই রেইন ফরেস্টে (ঘনবর্ষণ বনভূমি) চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে ৭৫ হাজার বার আগুন লাগে।
শুস্ক মৌসুমে আমাজনে দাবানল স্বাভাবিক ঘটনা হলেও চলতি বছরে যেভাবে আমাজন পুড়ছে, তা পৃথিবীর জন্য বড় ধরনের অ’শনি সংকেত। আমাজনের নিয়ন্ত্রণহীন দাবানলকে ‘আন্তর্জাতিক সং’কট’ হিসেবে অভিহিত করে বিশ্বনেতারা উ’দ্বেগ প্রকাশ করেন।
পরিবেশবাদী এনজিওগুলোর দাবি, কৃষি ও শিল্পের জন্যও উজাড় করা হচ্ছে বন। এ উদ্বে’গে কান না দিয়ে উল্টো পরিবেশবাদী এনজিওগুলোর বিরু’দ্ধে আমাজনে আগুন লাগানোর অভিযোগ তোলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ার বোলসোনারো।
এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন
ভারতের কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে চলমান বিক্ষো’ভের আগুনে যেন ঘি ঢেলেছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব আইন। পুরো ভারতই এখন বিক্ষো’ভে ফুঁসছে।
আসামে ১ কোটির মতো বাংলাদেশি অ’বৈধভাবে বাস করছে- এই যুক্তি দেখিয়ে বিজেপি সরকার এনআরসি করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ৩১ আগস্ট আসামের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ হয়।
এনআরসির মাধ্যমে ১৯ লাখ মানুষকে অ’বৈধ নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তাদের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা ৬ লাখ। এর মধ্যে ১১ লাখ হিন্দু বাঙালি। এনআরসির প্র’তিবাদে রাস্তায় নামে আসামবাসী।
আসামের পরই বিজেপি সরকার জানায়, এবার নাগরিকপঞ্জি করা হবে পশ্চিমবঙ্গে, এরপর ভারতজুড়ে। এর ঘোর বিরো’ধিতা করে তৃণমূল সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে তিনি এনআরসি হতে দেবেন না।
এসবের মধ্যেই নতুন করে অ’শান্তি ডেকে আনে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে। ১১ ডিসেম্বর নতুন নাগরিকত্ব আইন পাস করে বিজেপি সরকার।
নতুন নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্থান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যেসব অমুসলিম ধর্মীয় নিপী’ড়নের শি’কার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা এবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে এই আইনের বিরো’ধীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, ধর্মের ভিত্তিকে কখনোই নাগরিকত্ব প্রদান করা যায় না।
তারা বলছেন, নতুন আইনটির মাধ্যমে ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা করে অ’বৈধ অভিবাসীদের দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপ’ন্থী। এই আইন নাগরিকদের জীবন ও মৌলিক অধিকার তথা সাম্যের অধিকার ল’ঙ্ঘন করে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই আইনে স্বাক্ষর করার পরেই দেশজুড়ে বিক্ষো’ভ শুরু হয়। বিশেষ করে দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লিতে এই আইনের বিরু’দ্ধে ব্যাপক প্র’তিবাদ শুরু হয়।
আসামে সহিং’সতায় ৫ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে। শুধু উত্তরপ্রদেশে বিক্ষো’ভে সহিং’সতায় এখন পর্যন্ত নিহ’ত হয়েছেন ২১ জন।
পাকিস্থানে ট্রেনে আগুন
চলতি বছরের আলোচিত দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি পাকিস্থানের ট্রেন দুর্ঘটনা। একটি চলন্ত ট্রেনে আগুন লেগে ৭৩ যাত্রী নি’হত হন, আহত হন কমপক্ষে ৪০ জন। দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান এলাকায় ৩১ অক্টেবর এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্রেনের একটি বগিতে রান্নার সময় গ্যাসের স্টোভ বি’স্ফোরণে আগুন ধরে যায়। পরে সে আগুন আরও দুটি বগিতে ছড়িয়ে পড়লে হতাহ’তের সংখ্যা বেড়ে যায়।
আন্তর্জাতিক আদালতে সু চি
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা গেছে বিদায়ী বছরে। এ বছর আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি হতে হয়েছে মিয়ানমারকে।
রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশং’সতাকে গণহ’ত্যা আখ্যা দিয়ে গত ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আইসিজেতে মামলা করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।
মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর জোট ওআইসির সমর্থনে গাম্বিয়ার ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, রোহিঙ্গাদের নির্বি’চারে হ’ত্যা, ধ’র্ষণ এবং তাদের আবাসন ধ্বং’স করেছে মিয়ানমার।
১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয় নেদারল্যান্ডসের হেগে।
রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর গণহ’ত্যার অভিযোগের বিরু’দ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করেন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি।
শুনানির ২য় দিনে মিয়ানমারের পক্ষে বক্তব্য দেন সু চি। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহ’ত্যা চালানোর অভিযোগে করা মামলাটি অ’সম্পূর্ণ ও বিভ্রা’ন্তিকর বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি জানান, মিয়ানমারের সেনাসদস্যরা যু’দ্ধাপরাধ করে থাকলে তা দেশটির নিজস্ব তদন্ত ও বিচারব্যবস্থায় নি’ষ্পত্তি করা হবে। এটিকে আন্তর্জাতিকীকরণের সুযোগ নেই।
ব্রেক্সিট
পুরো বছরজুড়ে ব্রেক্সিট ইস্যু ছিল আলোচনায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বিচ্ছে’দ নিয়ে হাউস অব কমন্সে পরপর ব্যর্থ হয়ে টেরিজা মের প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়া, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন, এরপর আগাম নির্বাচন। এই সব কিছু নিয়েই বছরজুড়ে আলোচনায় ছিল ব্রিটেন।
ব্রেক্সিটের ব্যাপারে নতুন পরিকল্পনা পার্লামেন্টে অনুমোদন পাবে না, এটা স্পষ্ট হওয়ার পর মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন টেরিজা মে। জুনে টেরিজা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলে নতুন প্রধানমন্ত্রিত্ব পান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী নেতা বরিস জনসন।
তবে ক্ষমতায় আসলেও ব্রেক্সিট নিয়ে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি তিনি। কমন্সে পরপর ব্যর্থ হয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন বরিস জনসন। এরপর ইউরোপীয় কাউন্সিলের সময় নিয়ে তিনি নামেন ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’ নিয়ে। কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনিই সামনে আনেন প্রথম।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১২ ডিসেম্বর ব্রিটেনের ইতিহাসে যোগ হয় আরেকটি সাধারণ নির্বাচন।
প্রতি ৫ বছর পর সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ব্রেক্সিট নিয়ে জটিলতার কারণে যুক্তরাজ্যে গত ৫ বছরেরও কম সময়ে ৩টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি ব্রেক্সিটের পক্ষেই প্রচার-প্রচারণা চালায়। ভোটারদের প্রতি দলটি পরিস্কার বার্তা দেয়। তারা আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হয়ে যেতে চায়। সাড়ে ৩ বছরেও ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে না পারার ব্যর্থতা এবার কাটিয়ে উঠতে চায় দলটি।
জনগণের কাছে ব্রেক্সিট প্রশ্নে স্পষ্ট অবস্থান জনসনকে তথা কনজারভেটিভ পার্টিকে এনে দেয় বিপুল ব্যবধানের ঐতিহাসিক জয়।
নতুন পার্লামেন্টের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৯ ডিসেম্বর। এরপর ২০ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বি’চ্ছেদ বিল উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রেক্সিট বিলের ওপর ভোটাভুটিতে তার প্রস্তাব ৩৫৮ ভোট পেয়ে প্রাথমিকভাবে পাস হয়। বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৩৪টি।
জানুয়ারির শুরুর দিকে ব্রেক্সিট চুক্তিগুলোর ওপর পার্লামেন্টে চূড়ান্ত ভোট হওয়ার কথা। সেদিকেই তাকিয়ে আছে বিশ্ব।
ট্রাম্পের অভিশং’সন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ৩য় প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশং’সিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরু’দ্ধে অভিশং’সনের প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ইমপিচমেন্ট বা অভিশং’সনের ঘটনা বিরল। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় ভারসাম্য রক্ষা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস, যেখানে আইন তৈরি করা হয়, তারা দেশটির প্রেসিডেন্টসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরু’দ্ধে অভিযোগ দুটি হলো, তিনি তার পদ ব্যবহার করে তার ডেমোক্র্যাট রাজনৈতিক প্রতিদ্ব’ন্দ্বী জো বাইডেনের বিরু’দ্ধে তদন্ত করতে ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেছিলেন এবং অভিশং’সনের তদন্তকাজে সহায়তা করতে অ’স্বীকার করে তিনি কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ৩য় প্রেসিডেন্ট হিসেবে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে অভিশং’সিত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন তার প্রেসিডেন্ট থাকতে পারা না পারা নির্ভর করছে আগামী জানুয়ারিতে সিনেটে শুনানিতে।