নোয়াখালী প্রতিনিধি:
বলাৎ’কারের হাত থেকে বাঁচতে নোয়াখালীর সেনবাগে মাদ্রাসা থেকে ২ ছাত্র পালানোর চেষ্টা করে। আর এজন্য তারা ৪ তলার জানালার সাথে রশি বেঁধে সেটা বেয়ে বেয়ে নিচে নামার পরিকল্পনা নেয়।
বয়স কম এবং ওজনে হালকা হলেও রশিটি তেমন একটা মজবুত ছিল না। আর তাই তাদের ভার সইতে না পেরে রশিটি ছিঁড়ে যায়। আর এতে সাজিদ (১২) নামে এক ছাত্রের মৃ’ত্যু হয়েছে। সেই সাথে তার সহপাঠি সাইফুল ইসলাম নামে অপর ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে।
সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার কানকিরহাট ইসলামিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, স্থানীয়দের হৈ চৈ শুনে মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাদের উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাজিদকে মৃ’ত ঘোষণা করেন।
সেনবাগ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল জানান, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের শা’সনের নামে মা’রধর ও ব’ন্দি করে রাখায় ওই ২ ছাত্র পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় হতাহ’তের ঘটনা ঘটে।
নিহ’ত সাজিদ কানকিরহাট এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে। আহত সাইফুল ইসলামকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশ’ঙ্কাজনক।
এদিকে এই ঘটনাটি নিয়ে যেন সাংবাদিকরা কোনো ধরনের সংবাদ করতে না পারে, সেজন্য শিক্ষার্থীদের হুম’কি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর চাচা জানান, ছাত্রদেরকে নি’েষেধ করছে শিক্ষকরা, যেন এ বিষয়ে কারো সাথে তারা কথা না বলে।
এই প্রতিবেদক বহু চেষ্টার পর এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলতে সমর্থ হন। ভী’ত সেই শিক্ষার্থী নিজের নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদকক জানায়, সাজিদ আর সাইফুল মাদ্রাসার শিক্ষকদের দ্বারা বলাৎ’কারের শি’কার হয়েছে কয়েকবার। তারা আর এখানে পড়তে চায় না। অভিভাবকদের জানালেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। তাই উপায় না দেখে পালানোর চেষ্টা করে তারা।
ওই শিক্ষার্থী আরো জানায়, এখানে শিক্ষকরা খুব কঠিন কঠিন শা’স্তি দেয়। উল্টা লটকিয়ে রাখা, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখাসহ বেত দিয়ে মা’রধরও করে। তাই কেউ এখানে থাকতে চায় না। আর বলাৎ’কার তো আছেই।
3.9K