এবার ভিন্ন রূপে চলবে নীলসাগর এক্সপ্রেস, তবে…

0

নীলফামারী প্রতিনিধি:

চিলাহাটি-ঢাকা পথে চলাচলকারী একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন নীলসাগর এক্সপ্রেসের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও আসন না বাড়িয়ে কমানো হয়েছে। এতে বি’পাকে পড়েছেন যাত্রীরা। তারা প্রায় ১ সপ্তাহ আগে চেষ্টা করেও আসন পাচ্ছেন না। এ কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের কথা শুনতে হচ্ছে রেলওয়ের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, আগে এ জেলার ৪টি রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী যাত্রীদের জন্য আসন বরাদ্দ ছিল ৪৭৯টি। সেখান থেকে ৯৩টি কমিয়ে করা হয়েছে ৩৮৬টি। ট্রেনের কোচবাহী বহর (র‌্যাক) পাল্টানোর কারণে এ আসন সংখ্যা কমেছে। গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে নতুন বহরে ট্রেনটি চলাচল শুরু করে।

অনেকের অভিযোগ, নীলসাগর ট্রেনের আসন জোগাড় করা আগে থেকেই সোনার হরিণ পাওয়ার সমান। স্টেশনে গেলে বলা হয় টিকিট নেই। এখন শুনছি, আসন আরও কমানো হয়েছে। এতে সমস্যা কতটা বাড়বে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সৈয়দপুরের মুন্সিপাড়ার আবেদ আলী বলেন, গত ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় যাওয়ার জন্য ৭ দিন চেষ্টা করেও নীলসাগর ট্রেনের একটি টিকিট পাইনি। এমনিতে ট্রেনের সময়সূচিতে বিপ’র্যয় ঘটেছে। তার ওপর টিকিটেরও সং’কট।

রেলওয়ের সূত্রমতে, চিলাহাটি থেকে ঢাকায় চলাচলকারী একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন নীলসাগর এক্সপ্রেস রাতে চলাচল করে। এটি চিলাহাটি থেকে ছেড়ে ঢাকার কমলাপুরে যায়। আগে এ ট্রেনে চিলাহাটি স্টেশন থেকে আসন ছিল ১০৭টি, বর্তমানে করা হয়েছে ১০১টি। ডোমার স্টেশন থেকে আসন ছিল ৮৭টি, এখন করা হয়েছে ৬৩টি। নীলফামারী স্টেশনে আসন ছিল ৯৭টি। এখন তা কমিয়ে করা হয়েছে ৬৬টি। সৈয়দপুর স্টেশন থেকে আসন ছিল ১৮৮টি, এখন করা হয়েছে ১৫৬টি। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের করা আসন বরাদ্দের এ নির্দেশিকা গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, নীলসাগর ট্রেনের আগের বহরটি ভারতের তৈরি ছিল। সেটি রাজশাহী-ঢাকা পথে চলাচলকারী ট্রেনে যুক্ত করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার তৈরি আরেকটি বহর নীলসাগরে যুক্ত করা হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর থেকে এ বহরে ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। আগের বহরের চেয়ে এ বহরে আসন কম।

এ কারণে আগে নীলসাগর ট্রেনে আসন সমন্বয় করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে নীলফামারী স্টেশনে শোভন চেয়ার ৯০টি বরাদ্দ থাকলেও তা কমিয়ে ৫৪টি করা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার ৫টি ছিল, তা বাড়িয়ে ১০টি করা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন ২টিই রয়েছে। এভাবে ৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার বাড়ানো হলেও শোভন চেয়ার কমানো হয়েছে ৩৬টি।

ডোমার স্টেশনে শোভন চেয়ার ৭৫টির স্থলে করা হয়েছে ৫০টি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার ১০টিই রয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন ২টির স্থলে ৩টি করা হয়েছে। চিলাহাটিতে ৯৫টি শোভন চেয়ারের স্থলে করা হয়েছে ৭২টি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার ১০টির স্থলে ২৫টি করা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ২টি কেবিন বাড়িয়ে ৪টি করা হয়েছে।

সৈয়দপুর রেলস্টেশনে ১৬০টি শোভন চেয়ার কমিয়ে ১২০টি করা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার ২০টি থেকে বাড়িয়ে ৩০টি করা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন ৮টি থেকে কমিয়ে ৬টি করা হয়েছে। এভাবে এ জেলার ৪টি রেলস্টেশনে ৯৩টি আসন কমানো হয়েছে।

জানতে চাইলে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. শওকত আলী বলেন, সৈয়দপুর থেকে নীলসাগর ট্রেনের আসনের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এরই মধ্যে রেলের নতুন আসন বণ্টনের তালিকায় আসন আরও কমানো হয়েছে। এ কারণে যাত্রীদের চাহিদা মতো আসন সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!