আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এবার ‘গোকন্যা’দের বিয়ে দেবে ভারতের মধ্যপ্রদেশ সরকার। আর তার জন্য বিবাহযোগ্য ষাঁড়ের খোঁজ করা শুরু হয়ে গেছে। দেশটির মধ্যপ্রদেশের অ্যানিম্যাল হাজব্যান্ড্রি দপ্তর এরই মধ্যে ১৬টি প্রজাতির ২শটি ষাঁড়েরও খোঁজ পেয়ে গেছে। যাদের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হবে দেশি গরুর।
এদের সঙ্গে ‘গোকন্যা’দের বিয়ে দেয়া হবে। কৃষকরাই তাদের পোষ্য গরুর জন্য বিবাহযোগ্য পাত্র অর্থাৎ ষাঁড় খুঁজে নিতে পারবেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। বিবাহযোগ্য ষাঁড়ের তালিকা সাজিয়ে রাখার জন্য একটি ওয়েবসাইটও খোলা হয়েছে, www.cssbhopal.com।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, যে ষাঁড়দের বেছে নেয়া হয়েছে, তাদের ছবিসহ সব তথ্য অর্থাৎ তাদের কোনও জিনগত বি’কৃতি আছে কি না, সবকিছু। এমনকি সেই ষাঁড়েদের ‘সিমেন’ও সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই তথ্য দেখেই কৃষকরা ঠিক করবেন, তাদের পোষ্য গরুর জন্য কোন পাত্র উপযুক্ত। বেশিরভাগ প্রজাতির ষাঁড়ই নাকি বিদেশি।
মধ্যপ্রদেশ পশুপালন ও পোল্ট্রি উন্নয়ন কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ড. এইচবিএস ভাদুরিয়া জানান, আমরা ১৬টি প্রজাতির ২০০টি ষাঁড়ের সিমেন সংগ্রহ করেছি। ওয়েবসাইটে ষাঁড়দের সম্পর্কে সব তথ্য দেয়া আছে।
শীতে গরুর জন্য জ্যাকেটের বন্দোবস্ত করছেন বিজেপি নেতারা
শীতের বিষয়টি মাথায় রেখে গরুর জন্য পাটের জ্যাকেট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশের বিজেপি শাসিত অযোধ্যা পৌরসভা। শীতে গরুদের ক’ষ্ট দূর করতে পৌর প্রশাসন এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
গরুর প্রতিটি জ্যাকেটের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে ধরেছে কর্তৃপক্ষ।
অযোধ্যা নগর নিগমের কমিশনার নীরজ শুক্লা বলেন, এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বৈশিংপুর গোশালা থেকে। এখানে ৭০০ ষাঁড়সহ মোট প্রায় ১২০০ গবাদিপশু আছে। প্রাথমিকভাবে গরুর বাছুরের জন্য ১০০টি জ্যাকেট দেয়া হচ্ছে। আস্তে আস্তে বাকিগুলোর জন্য দেয়া হবে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বাছুরদের জন্য যে জ্যাকেট দেয়া হচ্ছে তাতে ৩টি স্তর। শেষ স্তরে পাটের পরিবর্তে অন্য কোনো গরম মোলায়েম কাপড় ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এছাড়া গরু ও ষাঁড়ের জন্য তৈরি জ্যাকেটের নকশাও সম্পূর্ণ আলাদা। ষাঁড়ের জ্যাকেট শুধু পাটের তৈরি হবে। তবে গরুর জ্যাকেটে আছে ২টি স্তর।
এছাড়া শীতের মৌসুমে গরুর যাতে ক’ষ্ট না হয় সে জন্য প্রতিটি গোশালায় বনফায়ারের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে গোশালার মেঝেতে খড় বিছিয়ে দেয়া হবে। গরুর পরিষেবা দেয়া তাদের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।