চট্টগ্রাম ব্যুরো;
ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে গাছের ডাল ছাঁ’টাইয়ের নামে প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নি’র্বিচারে অনেক সরকারি গাছ কে’টে ফেলা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সীতাকুণ্ড পৌরসভা এলাকার ইকো-পার্কের গেইট থেকে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের সরকারি গাছের ডাল ছাঁ’টাইয়ের নামে প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রাস্তার পাশের গাছ নি’র্বিচারে কে’টে ফেলা হচ্ছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আ’পত্তি তুলেছেন।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলা উদ্দিন ও মো. জামশেদ বলেন, সড়কের ওপর নুয়ে পড়া ডাল কে’টে ফেলার নামে বহু পুরানো কড়ই, আকাশমনি, আম, কাঁঠালসহ নান প্রকার ফলজ ও বনজ গাছের মূল শাখা কে’টে উ’জাড় করে ফেলা হচ্ছে। যেভাবে গাছের ডাল ছাঁ’টাই করছে, এতে বেশিরভাগ গাছ মা’রা যেতে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক বিভাগের কিছু অ’সাধু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগ’সাজশে এই গাছ-নি’ধন কর্মযজ্ঞে মেতেছেন ঠিকাদার কর্মীরা। ডাল ছাঁ’টাইয়ের নামে বৃক্ষ নি’ধন করে লাখ লাখ টাকার গাছ বে-আইনিভাবে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
বাড়বকুণ্ড মান্দারীটোলা এলাকা হতে ঢালীপাড়া পর্যন্ত মহাসড়কের পূর্ব পাশের সকল প্রকার গাছের প্রায় একই রকম চিত্র দেখা গেছে। কা’টা গাছগুলো সাথে সাথে ট্রাকে করে অ’ন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে ছাঁ’টাইয়ের নামে গাছ নি’ধনে সড়কের সৌন্দর্য ন’ষ্ট হচ্ছে, ক্ষ’তি হচ্ছে পরিবেশের।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
চট্টগ্রাম বিভাগের সহকারি বৃক্ষ-পালনবিদ রফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, ছোট ডাল-পালা কা’টার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো বড় ডাল ও মূল অংশ কা’টার কথা নয়। তিনিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানান।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-প্রকৌশলী জুলফিকার বলেন, গাছের ডাল ছাঁ’টাইয়ের নামে মূল ডালপালা কে’টে ফেলার বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি নিজেও এ নিয়ে ক্ষু’ব্ধ। ডাল ছাঁ’টাইয়ের নির্দেশ কে দিয়েছে তা আমার জানা নেই।