সময় এখন ডেস্ক:
কোনো জু’লুম-নির্যা’তন-নিপী’ড়নে আওয়ামী লীগকে ধ্বং’স করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম মৃ’ত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজকের সভাটি তার স্মৃ’তির প্রতি উৎসর্গ করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অনেক অ’ত্যাচার-নির্যা’তন হয়েছে। মানুষের যে সমর্থন আমরা পেয়েছি এটা এই জন্য যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হয়- এই আস্থা ও বিশ্বাস আমরা অর্জন করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে যখন দলের দায়িত্ব নিই তখন এই চিন্তা মাথায় ছিল না যে, কোনো কিছু হতে হবে বা পেতে হবে। শুধু দেশের জন্য কাজ করে যেতে চেয়েছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করাই লক্ষ্য ছিল। আজকে দেশকে আমরা উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছি, যা সারাবিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগ দেখিয়ে দিয়েছে, একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
তিনি বলেন, দল শক্তিশালী থাকলে সেটা সরকারের বড় শক্তি। এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে উপলব্ধি করতে পারি। আজ সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও সংঘবদ্ধ।
টানা ৩য় বারের মতো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটকে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়ার জন্য জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, দেশের জনগণ আমাদের ২০১৮ সালের ভোটে নির্বাচিত করেছে। আমরা সরকারে আসতে পেরেছি। তাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে ২০২০ সাল জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছি। পাশাপাশি ২০২১ সাল আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের সৌভাগ্য হলো যে আমরা ১৯৯৭ সালে আমাদের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী… সেটাও কিন্তু আমরা উদযাপন করতে পেরেছিলাম। তখনও আওয়ামী লীগ সরকারে ছিল। আবার সুবর্ণজয়ন্তীটাও উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছি। সেই জন্য আমরা জাতির কাছে কৃতজ্ঞ। আমি বাংলাদেশের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণের এই আস্থা-বিশ্বাস না থাকলে আমরা এই সুযোগটা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার সুযোগটা পেতাম না। জানি না তখন কী হতো! কারণ এই নামটা তো মুছে ফেলার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা আবার নবউদ্যমে জাতির পিতার দেয়া এই স্বাধীনতাকে আরও অর্থবহ করবো, বাংলাদেশকে আরও উন্নত করবো, যেন বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বে একটা মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন যে মর্যাদা পেয়েছে, এর থেকে আরও বেশি মর্যাদা নিয়ে একটা উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেন গড়ে উঠতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাব। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা হবে।
আজকে আমাদের একটাই প্রতিজ্ঞা হবে, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলা যেন আমরা করতে পারি। এই বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশই হবে।
সেই প্রতিজ্ঞা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সূচনা বক্তব্য শেষ করেন তিনি। এরপর দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যম নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টাপরিষদের রুদ্ধদ্বার যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সভা পরিচালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভায় দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।