ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাসের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরিচিতি পর্বে উচ্চারিত হয়নি বিভিন্ন অ’পকর্মের দায়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপ’সারিত রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীর নাম।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক পরিচিতি পর্বে সবার নাম বললেও শোভন-রাব্বানীর নাম বলেননি।
বেলা আড়াইটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজনস্থলে আসেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তরীয় পরিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন ছাত্রলীগের নেতারা। পরে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এরপর বাজানো হয় দেশাত্মবোধক গান।
সকাল থেকে নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন হাতে মিছিল সহকারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শুভ শুভ শুভ দিন-ছাত্রলীগের জন্মদিন’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে গোটা উদ্যান। দুপুর হতেই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান রূপ নেয় ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মীদের মিলনমেলায়।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ পত্রও পর্যন্ত দেয়া হয়নি শোভন-রাব্বানীকে।
ছাত্রলীগের সব কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম বলার সময় কেন তাদের দু’জনের কথা বলা হয়নি এ বিষয়ে কাউকে মন্তব্য করতেও শোনা যায়নি।
২০১৮ সালের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দায়িত্ব পাওয়ার পর বিভিন্ন সময় বিত’র্কে জড়ালেও সবশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাদের বিরু’দ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ আনলে দু’জনই অপ’সারিত হন।
শোভন এরপর অনেকটা আড়ালে চলে গেলেও গোলাম রাব্বানী সরব রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হিসেবে। ডাকসুর বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাকে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়।
297