টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
রোগী সেজে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) মো. মঈনুল হক।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তিনি ওই ডাক্তারকে আটক করেন।
আটক ভুয়া ডাক্তারের নাম ইব্রাহীম খলিল (৩৪)। তিনি জামালপুর উপজেলা সদরের তারা শেখের ছেলে।
স্থা্নীয় সূত্রে জানা গেছে, ইব্রাহীম খলিল ঢাকা হোমিও কমপ্লেক্সের নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এসিল্যান্ড মো. মঈনুল হক নিজেই রোগী সেজে চিকিৎসা নিতে হাজির হন ওই হোমিও কমপ্লেক্সে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান অন্য ডাক্তারের প্যাডে ইব্রাহীম খলিল রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন।
এ সময় তার কাছে লাইসেন্স চাইলে দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এসিল্যান্ড মো. মঈনুল হক ভুয়া ডাক্তার ইব্রাহীমকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৩০ হাজর টাকা জরি’মানা ও এবং ওই হোমিও কমপ্লেক্সটি সিলগালা করে দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) মো. মঈনুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি নিজেই রোগী সেজে ওই হোমিও কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান।
পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর (৫২) ধারা অনুযায়ী ওই ভুয়া ডাক্তারকে ৩০ হাজার টাকা জরি’মানা এবং হোমিও কমপ্লেক্সটি সিলগালা করে দেয়া হয়।
স্বর্ণসহ বিমানবন্দরের ৩ পরিচ্ছন্নতাকর্মী আটক
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২ কেজি ৩২০ গ্রাম স্বর্ণসহ ৩ পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে তাদের আটক করা হয়। বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন শিমুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিমানবন্দরের কনকর্স হলে বিমানের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. সুমন শিকদারকে (৩৪) জুতার তলায় লুকায়িত ২০টি স্বর্ণের বারসহ আটক করা হয়। এ সময় তার সহযোগী বিমানের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. শাহিন হোসেন (২৭) ও মো. বেলাল আকনকেও (২৮) আটক করা হয়।
ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, আজ (শনিবার) আবুধাবি থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-০২৮ ঢাকায় আসে। ওই বিমানে পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন সুমন, শাহিন ও বেলাল। বিমানবন্দরের বিমানটি যাত্রী নামানোর জন্য ডকিং করার পর পরিচ্ছন্নকর্মীরা বিমানে যায়। পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হলে তারা নেমে আসে।
এ সময় বিমানের নিরাপত্তায় থাকা আর্মড পুলিশের সদস্যরা সুমনকে তল্লাশি করতে চাইলে সে বাকবিত’ণ্ডায় লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে সুমনসহ ৩ জনকে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অফিসে নিয়ে তল্লাশি করলে সুমনের ২ জুতার তলায় ২০ পিস স্বর্ণবার পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসা’বাদে সুমন জানায়, কালাম নামের বিমানের এক টেকনিশিয়ান বিমানের মধ্যেই তাকে এসব স্বর্ণবার হস্তান্তর করে। এ কাজের জন্য সে ২০ হাজার টাকা পেত।
আটক স্বর্ণের বারের বাজার মূল্য ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আটকদের বিরু’দ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের চোরা-চালান বিরো’ধী ধারায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।