চট্টগ্রামে ইয়া-বাসহ ঘানা ও বাংলাদশের ৩ ফুটবলার গ্রেপ্তার

0

স্পোর্টস ডেস্ক:

চট্টগ্রাম নগরীতে সাড়ে ৭ হাজার পিস ইয়া-বাসহ ঘানা ও বাংলাদশের ৩ ফুটবলারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- ঘানার ফুটবলার ফ্রাঙ্ক (২৭) ও রিচার্ড (২৮) ও বাংলাদেশি মো. মাসুদ (২৪)।

শুক্রবার গভীর রাত রাত ২টার দিকে শাহ আমানত সেতু এলাকায় বাস থেকে নামার পর ফ্রাঙ্ক ও রিচার্ডকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার ঘানার ২ নাগরিক কক্সবাজার থেকে ইয়া-বাগুলো নিয়ে ঢাকায় মাসুদের কাছে যাচ্ছিলেন।

নতুন ব্রিজ এলাকায় বাস থেকে নামলে তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তল্লাশি চালায়। এ সময় তাদের কাছে থেকে সাড়ে ৭ হাজার ইয়া-বা পাওয়া যায়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাসুদকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ঘানার ২ ফুটবলার মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আমীনের আদালতে স্টেটমেন্ট দিয়ে দায় স্বীকার করেছেন। ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয় মাসুদের।

গ্রেপ্তার মাসুদ ও ফ্রাঙ্ক ঢাকার মাঠের দু’জন পরিচিত ফুটবলার। ২০১১ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলেছিলেন মাসুদ। তার জোড়া গোলে ভর করেই ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

শেষ মৌসুমেও খেলেছেন রহমতগঞ্জের জার্সিতে। আর ২০১১ সালে ঘানার ফ্রাঙ্কের কল্যাণেই সুপার কাপ জিতেছিল আবাহনী।

‘আমলা না কে, ভাবার সময় নাই’

চলমান বিপিএল বল হাতে নিয়মিত আলো ছড়াচ্ছেন মেহেদী হাসান রানা। এরইমধ্যে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ শনিবার (৪ জানুয়ারি) খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন মেহেদি রানা। নিজের প্রথম ওভারেই দারুণ ২টি ডেলিভারিতে বিদায় করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাশিম আমলাকে।

আমলার মতো ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করতে পারা যে কোনো তরুণ বোলারকে দারুণ তৃপ্তি দেওয়ার কথা। তবে ম্যাচ শেষে মেহেদি রানা জানালেন, ব্যাটসম্যানের নাম নিয়ে তিনি ভাবেন না।

কোনো ব্যাটসম্যান যখন উইকেটে নামে, আমি তখন চিন্তা করি না যে আমলা নাকি কে ওটা। এসব ভাবিই না। আমি শুধু ভাবি যে আমার নিজের বোলিং করে যেতে হবে। এভাবে বোলিং করেই সফল হয়েছি।

মুস্তাফিজের সঙ্গে রানার সেরার দৌড়টা বেশ ভালোভাবেই চলছে। কখনো মুস্তাফিজ এগিয়ে যায়, আবার কখনো রানা। অবশ্য রানার উইকেটের হিসাব রাখেন না।

যেমনটা বললেন এই তরুণ পেসার, উইকেট আমি গুনছি না। একেকটা ম্যাচ ধরে এগোচ্ছি। প্রতিটি ম্যাচে ভালো করব কীভাবে, সেটি ভাবছি। (মুস্তাফিজ টপকে গেলেন কিনা) সেটা মাথায় আনিনি। ম্যাচ থেকে ম্যাচে উন্নতি করছি। ভালো করছি। সামনেও ভালো করার আশা করছি।

শেয়ার করুন !
  • 273
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!