সময় এখন ডেস্ক:
চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে দেখতে ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে যান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে নানককে দেখতে হাসপাতালে আসেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তার পাশে কিছু সময় কাটান।
এর আগে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক নানককে দেখতে হাসপাতালে আসেন।
আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বুকে ব্যথা অনুভূত হলে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নানককে। পরে এনজিওগ্রাম করা হলে (হৃদযন্ত্রের রক্তনালীতে) দুটি ব্লক ধরা পড়ে। একটি ব্লক ৯০ ভাগ অপরটি ৫০ ভাগ। ৯০ ভাগ ব্লকে রিং পরানো হয়েছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী মো. বিপ্লব বলেন, অধ্যাপক ডা. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। তাকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বিপ্লব আরও বলেন, প্রথমে ইসিজি করার পর ডাক্তাররা এনজিওগ্রাম করার পরামর্শ দেন। এনজিওগ্রামের রিপোর্ট অনুযায়ী ডাক্তার বলেছেন, হার্টে দুটি ব্লক ধরা পড়েছে, তাৎক্ষণিক একটি রিং পরানো হয়েছে।
এদিকে নানককে দেখার জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় জমান।
অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে কথা হয় তার পরিবারের সাথে। নানককে উন্নত চিকিৎষার জন্য দেশের বাইরে নেয়া হতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, এই মুহূর্তে তাকে শিফট করা সম্ভব নয়। তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে, শ’ঙ্কা দূর হলে চিকিৎসকদের পরাশর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাছাড়া তিনি নিজেই দেশে চিকিৎসার প্রতি আস্থাশীল। দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যাপারে তার আগ্রহ কখনই ছিল না- জানান পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে পদোন্নতি পেয়ে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতা নানক।
212