আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বের মধ্যে সব থেকে অ-স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পানীয় তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ভারতের খাদ্য ও পানীয়। সম্প্রতি ওবেসিটি রিভিউ পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১২টি দেশের খাবার নিয়ে এ গবেষণাটি করা হয়। দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, চিলি, ভারত, কানাডা, চীন, হংকং, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
গবেষণায় ৪ লাখেরও বেশি রকমের খাবার নিয়ে পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ভারতের খাবারে ক্যালরির তুলনায় পুষ্টির পরিমাণ খুবই সামান্য। তবে প্রচুর পরিমাণে শর্করার প্রভাব রয়েছে। প্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে খাবারের মান পরিবর্তন হয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের খাবারে পরিবর্তিত ও অ-পরিবর্তিত খাদ্যশস্য থাকলেও তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও লবণের পরিমাণ থাকে অতিরিক্ত।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, এসব নিম্নমানের খাবারের কারণে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি স্থুল মানুষ রয়েছে ভারতে। শুধু তাই নয় এই ধরনের নিম্নমানের খাদ্যগ্রহণের ফলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্থুলতার কারণে তৈরি হওয়া হাইপার টেনশন ইত্যাদির সমস্যা বাড়ছে।
‘হেলথ ইস্যু ইন্ডিয়া’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে অসংখ্য মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। ফলে তাদের সন্তানদের উপযুক্ত খাবার দিতে সক্ষম হয় না। এতে শিশুর বৃদ্ধি ব্যা’হত হয়। তাদের শরীরে ছোট থেকেই সমস্যার বীজ বপন হয়, পরবর্তীকালে যা বৃহৎ আকার ধারণ করে।
বিশ্বে হৃদরোগের ৪০ ভাগই ঘটছে ভারতে। ২০১৬ সালে দেশটিতে সব রকমের মৃ’ত্যুর মধ্যে ২৮.১ শতাংশ ছিল হৃদরোগে মৃ’ত্যু।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রয়েছে খাদ্যাভ্যাসের। ভালো খাদ্যাভ্যাস হৃদয়ের স্বাস্থ্যের মান উন্নতির ক্ষেত্রে অনেকটাই সাহায্য করে। ২০১৭ সালে দেশটিতে ৭ লাখ শিশু মা’রা যায় অ’পুষ্টির কারণে।
যদিও এমন প্রতিবদেন প্রকাশের পর ভারতের জন সাধারণের মাঝে খুব একটা উ’দ্বেগ দেখা যায়নি। স্ট্রিটফুডে অভ্যস্ত কয়েকজনের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অজন্তা বলেন, আমরা এসব খাবারে এতটাই অভ্যস্ত যে, আমাদের শরীর এতে সয়ে গেছে। তাই চিন্তা করি না খুব একটা। তার সহপাঠী রাজ বলেন, যদিও আমাদের সচেতন হতে হবে এখন থেকেই।
স্টেটব্যাংক অব ইন্ডিয়ার চাকুরে মনীষ বলেন, আমাদের আসলে ভাবনার সময় থাকে না। আমরা যাত্রাপথেই খেয়ে নিই। পুষ্টি নিয়ে ভাবি আমরা ঘরে গেলে।