আইন আদালত ডেস্ক:
দেশের হোটেল, রেস্তোরাঁসহ সব জায়গায় ব্যবহার হওয়া ‘ওয়ান টাইম প্লাস্টিক’ পণ্য ১ বছরের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্লাস্টিক বন্ধের ব্যাপারে কী কী কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে জানাতে বিবা’দীদের ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি সময়সীমা বেধে দিয়েছেন আদালত।
শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সচিব, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্রোডাক্ট প্রডিউসার অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানসহ ৮ জনকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) এ-সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমেদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
রেজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের জানান, আগামী ১ বছরের মধ্যে দেশের সমস্ত উপকূলীয় অঞ্চল ও হোটেল-মোটেল-রেস্টুরেন্টে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অপর আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির বলেন, বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুসারে পলিথিন নি’ষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে। ২০০২ সালে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও রয়েছে। কিন্তু প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী যেমন- কটন বাড, প্লাস্টিক বোতল, প্লেট, ব্যাগ ও ফুড প্যাকেজিংয়ের ব্যবহার দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে।
দেশের ৫৪টি নদী ও উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো বঙ্গোপসাগরে ফেলা হচ্ছে। এতে পানি, মৎস্য ও সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্যে বিরূ’প প্রভাব পড়ছে। পরে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বেলাসহ ১১টি সংগঠন একটি রিট পিটিশন দায়ের করে এবং রিটে বিভিন্ন গবেষণা পত্র ও বিভিন্ন দেশের প্লাস্টিক রো’ধের কার্যক্রর ব্যবস্থাগুলো আদালতে তুলে ধরা হয়।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ রো’ধে বিবা’দীদের নি’ষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।