রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সোবহানের বিরু’দ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ ৩০০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ ৪টি দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে।
উপাচার্য ড. আব্দুস সোবহানের বিরু’দ্ধে উত্থাপিত ১৭টি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- উদ্দেশ্যমূলক শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় অ’স্বাভাবিক পরিবর্তন, দুর্নীতি করে নিজ কন্যা ও জামাতাসহ কম যোগ্যতাসম্পন্নদের নিয়োগ, উপাচার্যের অবসরগ্রহণ ও পুনরায় দায়িত্ব পালন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকে অ’সত্য তথ্য প্রদান, অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়াকে উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ ও তার নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) ৩০০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ ‘দুর্নীতিবিরো’ধী শিক্ষক সমাজ’-এর পক্ষ থেকে এ অভিযোগপত্র দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতিবিরো’ধী শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত শনিবার (৪ জানুয়ারি) ‘উপাচার্যের দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত’-সংবলিত ৩০০ পৃষ্ঠার ১৭টি অভিযোগের সংযুক্তিকরণসহ একটি প্রতিবেদন ৪ দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে।
অভিযোগগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- বিভিন্ন বিভাগে সভাপতি নিয়োগে অ’নিয়ম ও দুর্নীতি, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কর্মকর্তা, সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালার পরিবর্তন এবং গণহারে অ’যোগ্যদের এডহকে নিয়োগদান, উন্নয়নে সমন্বয়হীনতা ও অর্থের অ’পচয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌ’ন নিপী’ড়কদের দায়মুক্তি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইংরেজি বিভাগে এমএ পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনের চেষ্টা।
এছাড়া মুক্তিযু’দ্ধ প্রকল্প বাস্তবায়নে অ’নীহা, বাধা ও অব’মাননা, দু’ষ্কর্মে সহযোগী না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনিরকে নিপী’ড়ন ও বে-আইনিভাবে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব হতে অ’ব্যাহতি প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান তৈরিতে দুর্নীতি (শেলটেক),
প্রশাসনে বিভা’জন ও সমন্বয়হীনতা, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরু’দ্ধে নিপী’ড়ন ও অত্যা’চার, উপাচার্য প্রফেসর আব্দুস সোবহানের প্রথম মেয়াদের অ’নিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপ’ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে রাবি ভিসির বিরু’দ্ধে।