ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
প্রিয় শিক্ষকের ট্রান্সফার আটকাতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক মো. নাজমুল ইসলামকে ফরিদপুরের কামারখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ট্রান্সফার করা হয়েছে। আর এ ট্রান্সফারের খবর শুনে ক্ষো’ভ সৃষ্টি হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে। ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এ কারণে ট্রান্সফার আটকাতে রোববার বিদ্যালয়টির প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়।
বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিনিয়া ও জেসি বলেন, নাজমুল স্যার আমাদের সবার প্রিয় স্যার। স্যার ক্লাসে খুবই সুন্দরভাবে পাঠদান করান। যার ফলে আমরা খুবই সহজভাবে জটিল বিষয় শিখতে পারছি। কিন্তু স্যারের ট্রান্সফারের কথা জানতে পেরে খুবই ক’ষ্ট পেয়েছি আমরা। আমরা চাই স্যার আমাদের স্কুলেই থাকুক। এজন্য ট্রান্সফার বাতিলের জন্য আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি।
ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মী রানী পোদ্দার বলেন, বাংলা শিক্ষকের ট্রান্সফারের কথা শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে আমার কাছে এসে দাবি করে তাদের শিক্ষক যেন এই স্কুলে থাকে। পরে শুনেছি জেলা প্রশাসক বরাবর শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার সহকারী শিক্ষক মো. নাজমুল ইসলাম ট্রান্সফার হয়েছেন। এই ট্রান্সফারের আদেশ স্থ’গিতের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আমার কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। আমি স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি এবং শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করব।
২৫০ টাকা না দেয়ায় শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেননি প্রধান শিক্ষক
সরকারি বিনামূল্যের বই নিতেও গুনতে হচ্ছে টাকা। সেশন ফি ও উন্নয়ন ফি’র অজুহাতে বই উৎসবের দিনেও নতুন বইয়ের ঘ্রাণ থেকে ব’ঞ্চিত হয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
টাকা দিতে না পারায় বই না নিয়েই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষো’ভ বিরাজ করছে।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, প্রতি বছর কোনো রকম খাত না দেখিয়ে সেশন ফি ও স্কুলের উন্নয়ন ফি’র নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে আদায় করছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের কাছে বার বার অনুরোধ করেও তাদের সন্তানরা বই পায়নি।
110