বিশেষ প্রতিবেদন:
আওয়ামী লীগ সরকারের ১ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। টানা ৩য় বারের মত আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের দীর্ঘ ১ বছর। এইদিনেই গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। দেখতে দেখতেই পেরিয়ে গেছে ১ বছর। এই ১ বছরেই বিভিন্ন চ’ড়াই-উত’রাই পার করতে হয়েছে সরকারকে। তারপরেও সমস্ত দিক বিবেচনায় সরকারকে সফলই বলা যায়।
যদি বাংলাদেশের এ উন্নয়নের যাত্রা অ’ব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশ যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশগুলোর মতো উচ্চ আয়ের দেশ হবে তাতে সন্দেহ নেই। শিল্প, শিক্ষা, কৃষি, ক্রীড়া ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নতি ঘটছে। চিরকালের খাদ্য-ঘা’টতির দেশটিকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে রূপান্তর করা হয়েছিল।
তবে সাম্প্রতিক যে সং’কটগুলো এসেছে, সেগুলো সাময়িক। সরকার এ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারবে। রোহিঙ্গা সমস্যাটি বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে ধীরগতির করে দিলেও সরকার সফল। সরকারের সফলতার ৫টি দিক বিশ্লেষণ করে দেখা যাক-
শুদ্ধি অভিযান
গেলো বছরে সরকারের সবচেয়ে বড় চমক, অর্জন বা দু’র্দমনীয় উদ্যোগ ছিল দুর্নীতির বিরু’দ্ধে শুদ্ধি অভিযান। দলের মধ্যেই প্রকৃত দোষী কিংবা যারা মুখোশের আড়ালে দলে থেকে সুবিধা নিয়ে নিজেদের পকেট ভরিয়েছে, দলের সুনাম ক্ষু’ন্ন করেছে- তাদের দল থেকে বের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের মতো সাহস দেখিয়েছে এই সরকার।
ক্যাসিনোবিরো’ধী শুদ্ধি অভিযান শুরু হলে দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনা এবং বাহবা কুড়িয়েছে এই সরকার। দল থেকে বেরিয়েছে বহু নাম, যারা দলের নাম ভাঙিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়েছে, দলকে ডোবা’নোর চেষ্টা করেছে।
দুর্নীতির বিরু’দ্ধে কঠোর অবস্থান এবং নিজ ঘর থেকে শুদ্ধি অভিযানের সাহসী পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি দেশের মানুষের আস্থা-বিশ্বাসকে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
উন্নয়নের বিভিন্ন মেগাপ্রজেক্ট
মেগা প্রকল্প হিসেবে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি, সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করায় সরকারের সফলতা ব্যাপক। ইতোমধ্যেই সেতুতে বসেছে ২০টি স্প্যান, যার মধ্য দিয়ে সেতুর ৩ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। একই সঙ্গে রাজধানী যানজট এড়াতে মেট্রোরেলের অগ্রগতিও হয়েছে চোখে পড়ার মতো।
এই সরকারের আরেকটি বড় সাফল্য হচ্ছে সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। চ্যালেঞ্জিং হলেও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এ আইন বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে আইনটি বাস্তবায়ন হবে বলে এই সরকার আশাবাদী।
জ’ঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ
জ’ঙ্গিবাদ শতভাগ নি’র্মূল করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে সরকার। জ’ঙ্গিরা হয়ত ঘা’পটি মে’রে থাকে, তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর ছিল সবসময়ের সব পরিস্থিতির জন্য। এ পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে কোনো হুম’কিও নেই বলে জানান দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সন্ত্রা’স-জ’ঙ্গিবাদের কা’লিমা মুছে ফেলে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতি-সন্ত্রা’স ও জ’ঙ্গিবিরো’ধী জিরো টলারেন্স নীতি শুধু দেশেই নয়, এখন সারাবিশ্বে প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
বিগত ১ দশকের মতো সরকারের প্রথম বছরেও রাজনীতিতে চালকের আসনে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকল ষড়’যন্ত্র-চ’ক্রান্তের বেড়া’জাল ছি’ন্ন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় আজ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রশাসনে শৃঙ্খলা
সরকারের আরেকটি বড় সফলতা এসেছে প্রশাসনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময়ে দেশের প্রশাসন, আইন ও বিচার ব্যবস্থা অ-স্থিতিশীল হয়েছে। কিন্তু ৩য় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পরে মাত্র ১ বছরেই সেই অ-স্থিরতা, বি’শৃঙ্খলা কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করেছে সরকার।
আরও উল্লেখযোগ্য হলো, গেল বছরে দেশে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার দৃষ্টান্তমূলক রায় না হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব ছিল না।
496