বিচি-ছাড়া লিচুর জাত উদ্ভাবন করলেন কৃষক

0

বিশ্ব বিচিত্রা ডেস্ক:

প্রায় ২০ বছরের গবেষণার পর বিচিবিহীন লিচুর জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একজন কৃষক। চীন থেকে একটি লিচুর গাছ নিয়ে এসে শুরু হয়েছিল তার গবেষণা। এ প্রকল্পে ব্যয় হয় ৫ হাজার ডলার। এই কৃষকের নাম টিবি ডিক্সন।

কয়েক দশক ধরে তিনি একাধিক জাতের লিচুর জাত উদ্ভাবন করেন। তার সর্বশেষ উদ্ভাবন হলো- বিচিবিহীন লিচু। যাকে তিনি ‘খুব সুস্বাদু’ বলছেন। এর স্বাদ অনেকটা আনারসের মতো।

৪০ বছরের বেশি বয়সী এই কৃষক নিউজ চ্যানেল এবিসিকে বলেছেন, বিচিবিহীন এই জাত উদ্ভাবনে সফল না হওয়া পর্যন্ত তিনি চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন।

দীর্ঘ প্রচেষ্টায় লিচুর এই নতুন প্রজাতির উদ্ভাবন করা হয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা ওই ছোট গাছ থেকে হয় ক্রস পরাগায়নের মাধ্যমে এটি করা হয়। যাতে লিচুর পুরুষ ফুলের পরাগ সংগ্রহ করা হয় এবং তা নারী ফুলের অংশের মধ্যে স্থানান্তর করা হয়।

ব্যবহৃত প্লাস্টিক জমা দিলে টাকা দিবে ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশ

দেশের পর্যটন এলাকার পরিবেশ দূষণ বন্ধ ও জনগণের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ট্যুরিস্টদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক জমা দিলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাণ-প্রকৃতিভিত্তিক ট্যুরিস্ট গ্রুপ ‘ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশ’।

ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ট্যুরে থাকাকালীন প্লাস্টিকের একটি মোড়কজাত প্যাকেট জমা দিলে ১ টাকা, দেড় লিটার পর্যন্ত পানির বোতল ২টাকা, ২ লিটারের পানির বোতল ৩টাকা এবং ৫ লিটারের পানির বোতলে ৫টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক কেফায়েত শাকিল বলেন, বাংলাদেশ পর্যটন সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ। আমরা দেখছি অ-সাবধানতার কারণে পর্যটকদের ফেলা বিভিন্ন উচ্ছি’ষ্টে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সৌন্দর্য ন’ষ্ট হচ্ছে। প্লাস্টিকে চাপা পড়ে বি’লীন হচ্ছে সেন্টমার্টিনের কোরাল।

তিনি বলেন, একইভাবে ন’ষ্ট হচ্ছে সমুদ্র ও পাহাড়ের জীববৈচিত্রও। যার ফলে পর্যটন ও পরিবেশ একে অপরের বিরো’ধী হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অথচ পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার মাধ্যমে দেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে আরো সম্ভাবনাময় করা সুযোগ রয়েছে। তাই আমরা চাই পর্যটকদের মাঝে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলোসহ সারাদেশের পরিবেশ রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে।

তিনি বলেন, ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় পর্যটকের হাত ধরে জন্ম হয়েছে বিশ্ব সংস্কৃতির। পর্যটন কেন্দ্র এমন একটি স্থান যেখানে পুরো দেশের সচেতন ও শিক্ষিত মানুষগুলোর মিলনমেলা বসে। তাই আমরা মনে করি পর্যটকদের মধ্যে যদি প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় সচেতনতাবোধ জাগ্রত করা যায় তার ফল ছড়িয়ে পড়বে সারাদেশে। প্রত্যেক পর্যটকের হাত ধরে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা পৌঁছে যাবে সবখানে।

ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশের পরিচালক (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন আরিফ বলেন, শুধু প্রকৃতি রক্ষা নয় ন্যুন্যতম খরচে পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ওয়াইর্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশ বদ্ধ পরিকর। আমরা আমাদের ট্যুরিস্টদের অন্যদের চেয়ে একটু ব্যাতিক্রম বিনোদন দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এবং ট্যুরিজমের পাশাপাশি পৌঁছে দেব প্রকৃতি সংরক্ষণের মেসেজ।

ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের মিটিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিল্লাল হোসেন সাগর (পরিচালক-ট্যুর এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট), তানজিনা হোসেন চৈতী (পরিচালক-অর্থ ও হিসাব), আহসান জোবায়ের (পরিচালক-জনসংযোগ)।

শেয়ার করুন !
  • 193
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!