সময় এখন ডেস্ক:
জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই ছিল শোক প্রস্তাব। ২ জন সংসদ সদস্যের মৃ’ত্যুর কারণে এ শোক প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। সংসদ সদস্য ইউনুস আলী সরদার এবং ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পির স্মরণে আলোচনায় অংশ নেন সরকারি এবং বিরো’ধী দলের নেতৃবৃন্দ।
সবাই এই ২ জনের ওপর আলোচনা করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুলে আনেন সমসাময়িক সময়ের আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মৃ’ত্যু প্রসঙ্গ।
কোনোকিছুই যে শেখ হাসিনার দৃষ্টি এড়ায় না, কোনোকিছুই যে তিনি বাদ দেন না, সেটাই আরেকবার প্রমাণ করলেন তিনি। গতকাল জাতীয় সংসদে তিনি তার বক্তৃতায় তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নুল আবেদীনের কথা স্মরণ করেন। জয়নুল আবেদীন যে তার সঙ্গে মৃ’ত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলেন, সেটাও তিনি উল্লেখ করলেন।
এছাড়াও স্থপতি রবিউল হুসাইনের কথাও উল্লেখ করলেন। তিনি যে শুধু একজন স্থপতি তাই নয়, তিনি একজন ভালো কবি এবং সাহিত্যিক ছিলেন। এছাড়া তিনি ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদের কথাও স্মরণ করলেন।
প্রধানমন্ত্রী বললেন, ফজলে হাসান আবেদ মৃ’ত্যুর কয়েকদিন আগে তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমি বেশিদিন বাঁচবো না। এজন্য সবাইকে আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠানটি বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছি।
এটাই হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচক্ষণতা, দুরদৃষ্টি এবং প্রজ্ঞা। কোন কিছুই তার নজর থেকে বাদ যায় না। সবাইকে সম্মানিত করাই তার নীতি। এই শোক আলোচনায় অনেক সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দিয়েছিলেন। কিন্তু এই ব্যক্তিদের কথা কেউ বলেননি বা ভুলেই গিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা এই বিষয়গুলো ভোলেননি। রাজনীতির বাইরেও সবার প্রতি যে আলাদা মমত্ব, ভালোবাসা এবং গভীর আবেগ ধারণ করেন, সেটাই তিনি আরেকবার প্রমাণ করলেন।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশন শুরু হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় সংসদের বৈঠক শুরু হয়। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম এ অধিবেশন চলবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান। একই সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান।
756
