আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হাম’লায় ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হ’ত্যার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোলেইমানিকে হ’ত্যার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, আমি এইটুকু বলতে পারি যে আমাদের ৪টি দূতাবাস উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে পরিবেশবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এমন তথ্য প্রকাশ করে ট্রাম্প জানান, ইরানের ইশারাতেই বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে বিক্ষো’ভকারীরা হাম’লা চালিয়েছিল। আর আপনারা জানেন যে, কে এটা আয়োজন করেছিল। সেই ব্যক্তি এখন আর কোথাও নেই। আর তার পরিকল্পনায় আরও কয়েকটি নির্দিষ্ট দূতাবাসের কথা মাথায় ছিল।
ওহাইয়োতে এক সভায় ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দেন, সোলেইমানি সক্রিয়ভাবে নতুন হাম’লার পরিকল্পনা করছিলেন,আর শুধু বাগদাদের দূতাবাসই নয় বরং তিনি আমাদের অন্য দূতাবাসগুলোকেও গুরুত্বের দিচ্ছিলেন।
এদিকে ডেমোক্রেটরা অভিযোগ করেছে যে, হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে আগে থেকে আইনপ্রণেতাদের যথাযথ প্রজ্ঞাপন দেয়নি। এছাড়া ড্রোন হাম’লা সম্পর্কে ডেমোক্রেটদের দেওয়া গোয়েন্দা তথ্যে দূতাবাসে হাম’লার পরিকল্পনার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে ট্রাম্প বৃহস্পতিবার দূতাবাসে হাম’লার পরিকল্পনার অভিযোগ প্রথমে হোয়াইট হাউসে আনেন। পরে তিনি সেদিন রাতে ওহাইয়োতে একটি র্যালিতে গিয়ে আবারও একই অভিযোগ করেন।
তার এই অভিযোগে একমত প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, আমাদের কাছে আসন্ন হাম’লার হুম’কির সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল এবং এই হুম’কির মধ্যে মার্কিন দূতাবাসগুলোও ছিল।
অন্যদিকে, হাউস সশ’স্ত্র সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডাম স্মিথ বুধবার হোয়াইট হাউসে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভবিষ্যতে মার্কিন দূতাবাসে ইরানের হাম’লার পরিকল্পনার কোনো প্রমাণ নেই। আমি সব পর্যায়ের সবার সাথে কথা বলেছি, এমনকি আমি হোয়াইট হাউসেরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা কেউই এমন কিছু বলেনি।
হাতে যে গোয়েন্দা তথ্য ছিল তাতে কোনো নির্দিষ্ট টার্গেটের কথা উল্লেখ করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের কাছে যদি নির্দিষ্ট টার্গেটের প্রমাণ থাকে, তাহলে সেটি আমাদের জানানো হয়নি।
80