আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিসাইল ফায়ার করে ১৭৬ জন যাত্রী ও ক্রুসহ ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনির বিরু’দ্ধে বিক্ষো’ভ করছে দেশটির হাজার হাজার মানুষ।
কর্মকর্তারা কেন দীর্ঘ সময় ধরে এই ঘটনা নিয়ে মিথ্যা বলেছেন সে কারনেই বিক্ষো’ভ করছেন সর্বস্তরের জনতা। তারা খোমেনির দ্রুত পদত্যাগ দাবী করেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, বিক্ষো’ভকারীরা দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সমাবেশে অংশ নিলে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুঁড়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিক্ষো’ভকে অনুপ্রেরণামূলক উল্লেখ করে টুইট করেছেন।
প্রথমদিকে ওই বিমান ক্র্যাশের ঘটনায় নিজেদের দোষের কথা স্বীকার করেনি ইরান। পরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত মিসাইল আঘা’তের দৃশ্য সম্বলিত ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হলে গতকাল শনিবার সকালে ইউক্রেনের বিমান দুর্ঘটনার পেছনে নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করে নেয় তেহরান।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধানের জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হ’ত্যা করা হয়। এরপর গত ৮ জানুয়ারি ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে মিসাইল ছোঁড়ে তেহরান। যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান খোমেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ৩ মিনিটের মাথায় ক্র্যাশ করে।
ওই দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা অধিকাংশ আরোহীই ইরানি এবং ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক। নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন কানাডীয়, ১০ জন সুইডেনের, ৪ জন আফগানিস্তানের, ৩ জন জার্মানির এবং ৩ জন ব্রিটেনের নাগরিক। অপরদিকে ৯ ক্রুসহ ১১ জন ইউক্রেনের নাগরিক নিহ’ত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষো’ভকারীরা শরীফ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন। প্রথমদিকে তারা নিহ’তদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সমাবেশ করেন। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে সমাবেশ থেকে ক্ষো’ভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে শহরের সর্বত্র। তারা খোমেনির পদত্যাগের দাবীতে স্লোগান দেন।
যারা বিমানে মিসাইল ছোঁড়ার পেছনে দায়ী এবং যারা এই ঘটনা অ’স্বীকার করার চেষ্টা করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে কমান্ডার ইন চীফ এবং সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির পদত্যাগ এবং মিথ্যাবাদীদের ফাঁ’সির দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন তারা।
38
