কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
দেশের সূর্য সন্তান মুক্তিযো’দ্ধারা, তাদের বিশাল আত্ম’ত্যাগের গৌরব বহন করে চলেছেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু মুক্তিযো’দ্ধা আর তাদের পরিবারগুলো এদেশে কি সেই সন্মান আর গৌরব নিয়ে বেঁচে আছেন? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্র’তিপক্ষ কর্তৃক মুক্তিযো’দ্ধার এক অ’সহায় ভূমিহীন মেয়ের পরিবারকে মা’রধর, বাড়ি-ঘর ভা’ঙচুর ও লু’টপাট করে উচ্ছে’দ করা হয়েছে। আশ্রয়হীন হয়ে ২ সন্তানসহ আহত দম্পতি এখন মান’বেতর জীবন কাটাচ্ছে।
অভিযোগ পেয়ে উলিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও রহস্যজনক কারণে মামলা নেয়নি। ফলে স্থানীয় মাতব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সুরাহা না পেয়ে আদালতে মামলা করেছে ভিক্টিম পরিবার।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর দক্ষিণ নাজিরা গ্রামের মুক্তিযো’দ্ধা বয়েজ উদ্দিনের মেয়ে বিজলী বেগম ১৪ শতক খাস জমির ওপর বাড়ি-ঘর তৈরি করে প্রায় ৪০ বছর ধরে স্বামী-সন্তান নিয়ে কোনোরকম বসবাস করে আসছিল। তার স্বামী উলিপুর পৌরসভাস্থ মুন্সিপাড়া (গো-হাটি) গ্রামের দিনমজুর নূর ইসলাম।
কয়েক মাস থেকে ওই জমিতে আরেক আশ্রিতা নূর ইসলামের ভাই নূর আলম, নূর কাশেম ও নূরনবী একজোট হয়ে নূর ইসলামের অংশটুকু কেড়ে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের বাড়ি ছাড়তে বিভিন্ন সময় ভ’য়-ভীতি, খু’নের হুম’কি দিয়ে আসছিল।
গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে আলম, কাশেম ও নবী সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে দরিদ্র নূর-বিজলী দম্পতিকে বে’ধড়ক মা’রপিট, লু’টপাট ও ঘরবাড়ি ভা’ঙচুর করে বসতভিটা থেকে উচ্ছে’দ করে দখ’লে নেয়। ভবিষ্যতে ওই জমিতে আসার চেষ্টা করলে তাদের প্রাণনা’শের হুম’কি দেয়া হয়।
হাম’লায় নূর ইসলাম গুরুতর আহত হলে তাকে উলিপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। এর আগেও এ ধরনের ঘটনার পর উলিপুর থানায় একটি অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্ত করে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে মামলা নেয়নি।
এদিকে ভিক্টিম দম্পতি ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এই প্রচন্ড শীতের সময় বিছি’ন্নভাবে মসজিদে ও অন্যের বাড়িতে রাতযাপন করছে।
অ’সহায় বিজলী বেগমের হারানো ভিটেবাড়ি ফিরিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
1.7K