বিনোদন ডেস্ক:
ক্যান্সারে আক্রা’ন্ত হয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোর। ইতিমধ্যে ৪টি ধাপে তার ১৭টি কেমো সম্পন্ন হয়েছে। ৫ম ধাপে প্রথম কেমোথেরাপির প্রস্তুতি চলছিল। তবে তার শরীরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তা শুরু করা যায়নি। এখনো ৭টি কেমো দেওয়া বাকি। ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফেরার কথা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তার দেশে ফেরা অ’নিশ্চিত হয়ে গেছে।
বর্তমান অবস্থায় কেমো নেওয়ার মতো শারীরিক শক্তি হারিয়েছেন ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ শিল্পী। এন্ড্রু কিশোরের শিষ্য কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস বলেন, আজ সকালেও কথা হয়েছে দাদার সঙ্গে। কথা বলতে খুব ক’ষ্ট হচ্ছিল। দাদার শরীরে থেমে থেমে জ্বর আসছে। এরইমধ্যে কয়েক ব্যাগ র’ক্তও দিতে হয়েছে। শারীরিক নানা অ’সুবিধা দেখা দেওয়ায় বর্তমানে তার কেমোথেরাপি সাময়িক বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকেরা। শারীরিক সমস্যা কাটিয়ে উঠলে পুনরায় তার কেমোথেরাপি দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, দাদার চিকিৎসার খরচও অনেক বেড়ে গেছে। সেটার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। আমরাও আশা করেছিলাম ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে দাদাকে দেশে নিয়ে আসতে পারব। আর তা সম্ভব হচ্ছে না। সবাই দাদার জন্য দোয়া করবেন। শিগগিরই যেন সুস্থ হয়ে তিনি নিজের দেশে ফিরতে পারেন। আগের মতো যেন গাইতে পারেন।
এন্ড্রু কিশোরকে যে কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে তার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা। এরইমধ্যে গুণী এই শিল্পীর চিকিৎসায় তার পরিবার কোটি টাকারও বেশি খরচ করে ফেলেছেন। প্রয়োজন আরও অনেক টাকা।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন এন্ড্রু কিশোর। তিনি হরমোনজনিত সমস্যায়ও ভুগছিলেন। এ কারণে তার ওজন হ্রাসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এড্রেনাল গ্লান্ডও বড় হয়ে গিয়েছিল। যদিও এই গায়কের সঠিক রোগ নির্ণয় করা যাচ্ছিল না। সর্বশেষ সিঙ্গাপুরে বায়োপসি রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হন এন্ড্রু কিশোর ক্যান্সারে ভুগছেন।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে কেমোথেরাপিসহ অন্যান্য চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসে কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। বাকি দিনগুলো সিঙ্গাপুর ওয়েন রোডের শাহেদ অ্যাপার্টমেন্টে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। সেখানে এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে তার স্ত্রী রয়েছেন।
159