সাভার প্রতিনিধি:
ঢাকার আশুলিয়ায় বাসা ভাড়া দিতে না পারায় স্বামীকে আটকে রেখে এক গার্মেন্ট শ্রমিককে (২৪) গণ’ধ-র্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বাড়ির মালিক কালামকে পুলিশ আটক করলেও পলাতক রয়েছে বাকিরা।
গত মঙ্গলবার দুপুরে আশুলিয়ার পশ্চিম জামগড়া এলাকার ফকির বাড়ি থেকে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক কালামকে আটক করে পুলিশ। এর আগে সোমবার গভীর রাতে একই বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
আটক কালাম আশুলিয়ার পশ্চিম জামগড়া এলাকার ফকির বাড়ির বাসিন্দা।
ভিক্টিম গার্মেন্ট শ্রমিকের অভিযোগ, তিনি পশ্চিম জামগড়া এলাকায় কালামের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থেকে ডিইপিজেডের একটি পোশাক কারাখানায় কাজ করেন। রাতে পরিবহন চালক স্বামী ও তিনি নিজ কক্ষেই ছিলেন। এসময় রাত ১২টার দিকে বাড়ির মালিক কালাম ও তার ৫ সঙ্গী নিয়ে বকেয়া ডিসেম্বরের মাসের ২ হাজার টাকা ভাড়ার জন্য তার কক্ষে আসে।
পরে কারখানায় তাদের বেতন হয়নি বলে বাড়ির মালিককে জানান তিনি। কিন্তু মালিক কালামের সহযোগী ২ জন তার স্বামীকে পাশের কক্ষে আটকে রাখে। পরে তার স্বর্ণের চেইন, চুড়ি, কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেয় তারা।
তিনি আরো বলেন, এরপর ৩ জন মিলে তার হাত-পা চেপে ধরে ও বাড়ির মালিক তাকে ধ-র্ষণ করে। বাকি ৩ জন পরবর্তীতে ভোর ৪টা পর্যন্ত তাকে ধ-র্ষণ করে চলে যায়। পরে সকালে তিনি আশুলিয়া থানায় এসে অভিযোগ করেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা জানান, ভিক্টিম ওই নারী শ্রমিকের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযুক্ত বাড়ির মালিক কালামকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের প্রোগ্রামার বরখা’স্ত
সরকারি কোষাগার থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার ৬টি ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা জা’লিয়াতির মাধ্যমে স্থানান্তরের যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের (সিজিএ) প্রোগ্রামার মো. সিদ্দিকুর রহমানকে চাকরিচ্যু’ত করেছে সরকার। এর আগে তাকে সাময়িক বরখা’স্ত করা হয়েছিল।
অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার গত ৮ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন। বুধবার অর্থমন্ত্রালয় প্রজ্ঞাপনটি জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিজিএ) ঢাকা এর প্রোগ্রামার মো. সিদ্দিকুর রহমানের (সাময়িকভাবে বরখা’স্ত) বিরু’দ্ধে প্রোগ্রামার হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন তার সহযোগিতায় অর্থ বিভাগের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের এসএএস সুপার মো. শরিফুল ইসলাম (সাময়িকভাবে বরখা’স্ত) কর্তৃক ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা জা’লিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।
ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে সরকারি কোষাগার থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখায় শরিফুল ইসলাম নিকটাত্মীয় স্বজনের নামে ৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা জা’লিয়াতির মাধ্যমে স্থানান্তর করে।
এ সংশ্লিষ্ট তথ্য মুছে ফেলা ও সরকারি কোষাগার থেকে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা আত্মসা’তে সহযোগিতা করেন বিধায় প্রোগ্রামার মো. সিদ্দিকুর রহমানকে (সাময়িকভাবে বরখা’স্ত) সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫ এর ৩ (ডি) অনুযায়ী {বর্তমানে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (ঘ)} অভিযুক্ত করে তার বিরু’দ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়।