পাকিস্থান সফরে যাবেন না মুশফিক!

0

স্পোর্টস ডেস্ক:

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্থান সফর নিশ্চিত হওয়ার আগেই শোনা গিয়েছিল, মুশফিকুর রহিম এই সফরে যাবেন না। সফর নিশ্চিত হওয়ার পরও তেমন খবরই শোনা যাচ্ছে। তবে, মুশফিক এখনো লিখিতভাবে এ ব্যাপারে বিসিবিকে কিছুই জানাননি।

বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেছেন, মুশফিক আমাদের কোনো চিঠি দেয়নি। সে যে পাকিস্থান যাবে না বা যেতে চাচ্ছে না, এটা লিখিত দিতে হবে। সেটা নিয়ম ও রীতির আওতায়। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা লিখিতভাবে মুশফিকের কোনো চিঠি পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাকে পাকিস্থানের সফরের জন্য অ্যাভেইলেবল ধরে রাখব।

তিনি আরো বলেছেন, মুশফিকের সঙ্গে তার ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। মুশফিক বলেছেন, আমি যাব না পাকিস্থান। তখন তিনি (নান্নু) মুশফিককে বোর্ডে চিঠি বা তাদের (নির্বাচকদের) বরাবর চিঠি দিয়ে পাকিস্থান যেতে না পারার কথা জানাতে বলেছেন।

পাকিস্থান সফর নিয়ে বেশ জটিলতা ছিল। সেটির সমাধান হয়েছে। ৩ দফায় পাকিস্থান সফর করবে বাংলাদেশ দল। এবারের সফরে পাকিস্থানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচ ৩টি অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ১৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি। ৩টি ম্যাচই হবে লাহোরে।

পাকিস্থান সফরের জন্য এখনো দল ঘোষণা হয়নি। তবে, সেটি হয়ে যেতে পারে বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার। দলে জায়গা পাওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে হবে অনুশীলন ক্যাম্প।

যতদূর জানা গেছে, ভারত সফর থেকে দলে বেশি পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। কারণ, ভারত সফরে যারা ছিলেন তাদের বেশিরভাগই বিপিএলে ভালো করেছেন।

এসব চ্যালেঞ্জ আমি উপভোগ করি: রাসেল

বলতে গেলে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন আন্দ্রে রাসেল। শেষ ৩০ বলে ৭৬ রান করে জেতা যে কোনো দলের জন্য খুব কঠিন। কিন্তু রাসেলের ২২ বলে ৫৪ রানের ইনিংসের উপর ভর করে তা সম্ভব করেছে রাজশাহী। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে বুধবার এক জমজমাট ল’ড়াইয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে রাজশাহী।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহীর অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ তিনি উপভোগ করেন। রাসেল বলেন, আমি চেষ্টা করেছি, যেই বোলিংয়ে আসুক, তাকে উড়িয়ে মারব। এমন পরিস্থিতিতে খেলতে ভালোবাসি আমি, যখন ওভারে ১২-১৩ রান করে প্রয়োজন থাকে। কখনও কখনও ১৫-১৬ করে লাগলেও আমি উপভোগ করি। এসব চ্যালেঞ্জ আমি খুবই পছন্দ করি।

তিনি আরও বলেন, আমি জানি যে আমি শক্তিশালী এবং যতক্ষণ টিকে থাকব, জেতা সম্ভব। আমি সবসময় খোলা মেজাজে থাকি, আগে থেকে কিছু ঠিক করে রাখি না। আমাদের উইকেট পড়ছিল দেখে খানিক হ’তাশ ছিলাম। বোলাররা চাপের মধ্যে ছিল। আপনি যখন উইকেটে টিকে যাবেন, তখন অনেক কিছু করার সুযোগও পাবেন।

এ সময় উইকেটে আসার পর নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়ে রাসেল বলেন, আমার পরিকল্পনা ছিলো একদম শেষ পর্যন্ত খেলব। উইকেট প’তন নিয়ে আমি চিন্তা করছিলাম না, কিন্তু যখন একের পর এক আউট হচ্ছিল সবাই- তখন আমার জন্য চাপ বেড়ে যায়।

আমি চাচ্ছিলাম অপরপ্রান্তে কেউ যেনো শুধু সঙ্গ দেয় আমাকে। রাহী পেরেছে, তাকে সাধুবাদ। আমি মনে করি প্রতিটা রান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ ম্যাচ অনেকসময় অনেক দিকে মোড় নেয়।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!