সময় এখন ডেস্ক:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভারত সফররত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাক্ষাৎ করেছেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নয়াদিল্লিতে রেইজিনা সংলাপে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের অন্যান্য দেশের মন্ত্রীদের সাথে ড. হাছান মাহমুদ বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
ড. হাছান মাহমুদের সাথে আলাপকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেবার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের যে অ-ভূতপূর্ব অগ্রগতি তিনি লক্ষ্য করছেন, তা আক্ষরিক অর্থেই বিস্ময়কর।
এদিন দুপুরে তথ্যমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামানিয়াম জয়শংকরের সাথে বৈঠক করেন।
এর আগে মঙ্গলবার তিনি ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদকারের সঙ্গে ভারতে বাংলাদেশ বেতারের দৈনিক ৪ ঘন্টা সম্প্রচার উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণে যৌথ প্রযোজনা চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।
বৃহস্পতিবার হায়দ্রাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটি পরিদর্শন শেষে আগামীকাল শুক্রবার তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আমদানিকৃত নিম্নমানের পচা পেঁয়াজ বাংলাদেশকে গছাতে চাইছে ভারত!
সাম্প্রতিক সময়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে রপ্তানি নি’ষিদ্ধের পাশাপাশি ভারতকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানিও করতে হয়েছিল। তবে এখন বেশিরভাগ রাজ্যেরই চাহিদা না থাকায় আমদানির পেঁয়াজ নিয়ে বি’পাকে পড়েছে দেশটি।
আর এরইমধ্যে টেম্পার (গুণগত মান) চলে যাওয়ায় পচনশীল এসব পেঁয়াজ বাংলাদেশকে গছাতে চাইছে দেশটির সরকার।
ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রকিবুল হকের সঙ্গে এক বৈঠকে সেসব পেঁয়াজ বাংলাদেশকে কেনার প্রস্তাব দেন বলে দেশটির ইংরেজি দৈনিক দ্য প্রিন্ট খবর দিয়েছে।
বৈঠকে ছিলেন ভারতের এমন একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের চাহিদার ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৩৬ হাজার টন পেঁয়াজ কেনার চুক্তি হয়, যার মধ্যে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৮ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
কিন্তু বিভিন্ন রাজ্য সরকার আমদানি করা পেঁয়াজের মাত্র ৩ হাজার টন নিয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহরু বন্দরে খালাসের অপেক্ষায়। কোনও রাজ্য না নেয়ার ফলে এই পেঁয়াজ নিয়ে বি’পাকে পড়েছে সরকার- দ্য প্রিন্টকে বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় ওই কর্মকর্তা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চমূল্যে আমদানি করা আর স্বাদের ভিন্নতার কারণে রাজ্যগুলি সেসব পেঁয়াজ নিতে রাজি নয়। একারণে আমদানিকৃত পেঁয়াজ পচে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, প্রতি টন ৫০ হাজার থেকে ৫৯ হাজার (৬০০ থেকে ৭০০ ডলার) টাকায় আমদানি করা পেঁয়াজ ভারত বাংলাদেশকে প্রতি টন ৫৫০ থেকে ৫৮০ ডলারে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
দ্য প্রিন্ট বলছে, বৈঠকে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রকিবুল হক বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে। নেপাল হয়ে আরও পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায়। তাই এই পেঁয়াজ বিক্রি করতে চাইলে বাংলাদেশকে বিনামূল্যে পরিবহনসহ ভারতের কিছু প্রণোদনা দেয়া উচিত।
তবে দ্রুত পচনশীল পন্য হওয়ার কারণে ভারতের কেনা পেঁয়াজের গুনগত মান ইতোমধ্যে ন’ষ্ট হয়ে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া ভারতের বেশি দামে কেনা সেই পেঁয়াজ বাংলাদেশের আমদানি করেও লাভ নেই।
ঢাকার বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারের আমদানিকারক শংকর চন্দ্র ঘোষ বলেন, পেঁয়াজ দ্রুত পচনশীল পণ্য। ভারত যে পেঁয়াজ বাংলাদেশকে কিনতে বলছে সেগুলির টেম্পার ন’ষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো বাংলাদেশের কারও আমদানি করা ঠিক হবে না।
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত হুট করেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নি’ষিদ্ধ করে। এর ফলে পেঁয়াজের বাজারে অ’স্থিরতা শুরু হয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন দেশ থেকে জরুরি ভিত্তিতে বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানির কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বর্তমানে বাজারে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজে ভরে উঠেছে। এছাড়া চীন, মিশর ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেয়াঁজেও বাজার ভরপুর।
333