সময় এখন ডেস্ক:
উত্তরের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রয়োজনে তাবিথ আউয়ালের পোস্টার নিজে লাগিয়ে দেব, কিন্তু ছিঁড়বো কেন? আমি যদি চাইতাম, তাবিথ আউয়ালের কোনো পোস্টারই রাজধানীতে থাকতো না।
নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরের আলুব্দী ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে আতিকুল বলেন, আমি যদি বলতাম, আমার নেতা কর্মীরা যদি বলতো, তাবিথ আউয়ালের কোনো পোস্টার ঢাকা শহরে থাকতো না।
তিনি আরও বলেন, আমি দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করব, আমাদের কোনো পোস্টার ছেঁড়া লাগবে না, কাউকে বাধা দেওয়া লাগবে না। আমি বরং ওয়েলকাম করব, প্রয়োজন পড়লে আমি তাবিথ আউয়ালের পোস্টার লাগিয়ে দেব। কিন্তু ছিঁড়ব না।
সমাবেশে আতিকুল ৩০ জানুয়ারির নির্বাচন পেছানোরও দাবি জানান। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চান না জানিয়ে তিনি বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমার পক্ষ থেকে, দলের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি, সম্ভব হলে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দিন। কারো ধর্ম পালনে যেন কোনো বি’ঘ্ন না ঘটে।
বাংলাদেশে সব ধর্মের লোক বাস করে, সবারই উৎসব পালনের অধিকার রয়েছে। অমি অবশ্যই মনে করি, সরস্বতী পূজার কারণে যদি নির্বাচন পেছানোর দরকার হয় সেটা করতে হবে।
নির্বাচনী প্রচারণায় আজ এবং গতকাল দেখা গেছে আতিকের পক্ষে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা মাঠে নেমেছেন। আর এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের শিল্প এবং ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান উত্তরে অবস্থিত। বিশেষ করে তেঁজগাও মিরপুরসহ অন্যান্য এলাকায় যেসব প্রতিষ্ঠান আছে সেই ভোটগুলোর সিংহভাগ যারা নিতে পারবে তাদের জন্য নির্বাচনের বৈতরণী অত্যন্ত সহজ হবে।
আর সেই কৌশলটি নিয়েছেন আতিকুল ইসলাম। নির্বাচনী প্রচারণার ১ সপ্তাহের মধ্যে ব্যবসায়ীদেরকে একাট্টা করতে পেরেছেন। যার কারণে এবারের নির্বাচনের ফলাফলে ব্যবসায়ীদের যে ভূমিকা তা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। আর ব্যবসায়ীরা আতিকুল ইসলামের পক্ষে যাওয়ায় ঢাকা উত্তরের নির্বাচনের ফলাফলও জমে উঠেছে।