২৫ জানুয়ারি-২৫ ফেব্রুয়ারি সব কোচিং বন্ধ: শিক্ষামন্ত্রী

0

সময় এখন ডেস্ক:

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাকে সামনে রেখে আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আসন্ন পরীক্ষা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। এতে অংশ নেবে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী। সকালের পরীক্ষা ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ও বিকালের পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে অবশ্যই কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আসনে বসতে হবে। বাংলা ২য় পত্র এবং ইংরেজির ২টি পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

উল্লেখ্য যে, প্রশ্ন ফাঁ’স এড়াতে গত কয়েক বছর ধরেই বোর্ড পরীক্ষাগুলোর সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিচ্ছে সরকার।

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিলের ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা তুলে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বড় পাবলিক পরীক্ষাগুলো রেখে নিচের স্তরে পরীক্ষা তুলে দিয়ে ধারাবাহিক ক্লাস মূল্যায়ন করা হবে। এ কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সমাপনী পরীক্ষাগুলোতে পুরো গ্রেডিং পদ্ধতি তুলে দিয়ে তাদের কীভাবে মূল্যায়ন করা যেতে পারি, সে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীরও কিছু দিকনির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমরা ধারাবাহিক মূল্যায়নের দিকে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এর সঙ্গে আগামী বছর থেকে জিপিএ-৪ কার্যকর করা হতে পারে। পুরো বিষয়টি বিশ্লেষণ করে ২০২০ সাল থেকে এটি চালুর চিন্তাভাবনা রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আগে একসময় ৪র্থ বিষয়ের ধারাবাহিক মূল্যায়ন ছাড়াই নম্বর দেয়া হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে যেভাবে ধারাবাহিক মূল্যায়নের পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে, সেখানে এমন সুযোগ থাকছে না। ক্লাসে যে কাজ থাকে তা অবশ্যই শিক্ষার্থীকে সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষকদেরও তা ডিজিটাল পদ্ধতি মূল্যায়ন করতে হবে। এজন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. দীপু মনি বলেন, ৮০’র ওপরে পাসের হার কম নয়। ঢাকা বোর্ডে ৮২.৭২ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। বর্তমানে অনেক ক’ষ্ট, অনেক চেষ্টা করে শিক্ষার্থীদের পাস করতে হচ্ছে। অভিভাবক ও শিক্ষকদের অনেক ক’ষ্টের ফল এটি। বিষয়টিকে নে’তিবাচক হিসেবে না দেখার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।

জিপিএ-৫ এর উ’ন্মাদনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন নিরা’নন্দময় করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের অধিক চাপের মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, জিপিএ-৫ জীবনের মূল লক্ষ্য নয়। কিন্তু তার (শিক্ষার্থী) বন্ধুবান্ধব ও সমাজ তাকে এদিকে ধাবিত করছে। এটি আমাদের মাথা থেকে ফেলে দেয়া উচিত। আমাদের শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে শিখছে কি না, তাদের প্রতিভা বিকাশ হচ্ছে কি না, সেই বিষয়গুলো এখন মুখ্য হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও এসডিজি বাস্তবায়নে মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে শিক্ষা। আমাদের শিক্ষার্থীদের মানবিক বিকাশ, মেধা, সৃজনশীলতা, নৈতিকতা বিকাশ হচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!