বিশেষ প্রতিবেদন:
ঢাকা উত্তরের মেয়র পদপ্রার্থী হলেও তাবিথ আউয়ালের জন্মস্থান হলো ফেনী। এটি বৃহত্তর নেয়াখালীর অংশ। আর নোয়াখালীর এই আঞ্চলিকতাই তাবিথের এই নির্বাচনের সবথেকে বড় শক্তি বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে যে, প্রকাশ্য নির্বাচনের বাইরে, তাবিথ আউয়ালের প্রচারণা টিমের সদস্যরা নোয়খালীর আঞ্চলিকতা উস্কে দেবার কাজটি করছে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে। বিশেষ করে ঢাকা উত্তরের যে নিম্ন আয়ের মানুষ আছে, তার একটি বড় অংশ বৃহত্তর ফেনী এবং নোয়াখলীর। তাদেরকে যদি ধানের শীষের পক্ষে নিয়ে আসা যায় তাহলে নির্বাচনি ল’ড়াইয়ে অনেক এগিয়ে যাওয়া যাবে বলে মনে তাবিথ আউয়ালের প্রচারণা টিম।
এইজন্যই নির্বাচনের শুরু থেকেই বৃহত্তর নোয়াখালীর ভোটারদের টার্গেট করা হচ্ছে। তাবিথের নির্বাচনী টিমের একটি সূত্র বলছে, তাদের হিসেবে ঢাকা উত্তরে প্রায় ২৭-৩০ ভাগ বৃহত্তর নোয়াখালীর ভোটার রয়েছে এবং এই ভোটারদেরকে তারা একাট্টা করতে চাইছেন।
অবশ্য সব নোয়াখালীর ভোটাররাই যে তাবিথকে ভোট দিবে এমন বক্তব্যের সাথে একমত নন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষের প্রচারণা দল। তারা মনে করেন, ঢাকা একটি কসমোপলিটন শহর। এখানে আঞ্চলিকতার ইস্যু খুব একটা কাজে দিবেনা। ভোটের সময় যেমন দলীয় ইস্যু কাজ করবে পাশাপাশি কারা নাগরিক সমস্যার সমাধান এবং জীবনমানের উন্নয়ন করতে পারবে সেটিও একটি ইস্যু হিসেবে কাজ করবে।
আর এসব বাস্তবতার ভিড়ে শেষ পর্যন্ত আঞ্চলিকতার রেশ কতক্ষন টিকবে সেটাই দেখার বিষয়।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরের আলুব্দী ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে আতিকুল বলেন, আমি যদি বলতাম, আমার নেতা কর্মীরা যদি বলতো, তাবিথ আউয়ালের কোনো পোস্টার ঢাকা শহরে থাকতো না।
তিনি আরও বলেন, আমি দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করব, আমাদের কোনো পোস্টার ছেঁড়া লাগবে না, কাউকে বাধা দেওয়া লাগবে না। আমি বরং ওয়েলকাম করব, প্রয়োজন পড়লে আমি তাবিথ আউয়ালের পোস্টার লাগিয়ে দেব। কিন্তু ছিঁড়ব না।