বিশেষ প্রতিবেদন:
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণা চলছে জোরেশোরে। উত্তর এবং দক্ষিণে সমান তালে প্রচারণা চলছে। ঢাকা দক্ষিণের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে এই ল’ড়াই তাপস ও ইশরাকের ল’ড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। দু’জনই প্রচারণায় নানা রকম কৌশল অবলম্বন করছেন।
তবে সরেজমিনে নির্বাচনী প্রচারণা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে এবার নির্বাচনে তাপসের পক্ষে জোয়ার উঠিয়েছে নারী এবং তরুণ ভোটাররা।
দলমত নির্বিশেষে নারী ভোটাররা তাপসের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় এমন অনেক নারীকে দেখা গেছে যারা আওয়ামী লীগ বা এমন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন কিন্তু তাপসের জন্য তারা কাজ করছেন।
ইডেন কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক তরুণী স্বতঃস্ফুর্তভাবে তাপসের জন্য কথা বলার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এর কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, তাপসের ব্যক্তিত্ব এবং তার কথাবার্তা তাদের পছন্দ হয়েছে এ কারণে তারা মনে করছে দক্ষিণের মেয়র তাপসেরই হওয়া উচিত। এজন্য তারা তাপসের পক্ষে প্রচারণা করছেন।
ঢাকা দক্ষিণে নারী ভোটারের সংখ্যা ৪৯ ভাগ। আর এটা একটা বিপুল শক্তি। এই শক্তির উপর ভর করেই তাপস নির্বাচনী ল’ড়াইয়ে অনেকটা এগিয়ে গেছেন। তাপস এখন তার নির্বাচনী প্রচারণায় নারী ভোটারদের প্রাধান্য দিচ্ছেন বলেও তার প্রচারণায় সঙ্গে জড়িতরা জানিয়েছেন।
নির্বাচনে তাপসের শক্তির আরেকটা জায়গা হলো তরুণ ভোটাররা। তরুণ ভোটাররা তাপসের মধ্যেই একজন সুস্থ ধারার রাজনীতিবিদের প্রতিচ্ছবি পাচ্ছেন। আর তাপস যে মিথ্যা আশ্বাস দিবেন না এই ধারণায় বিশ্বাসী তরুণরা। বিশেষ করে যারা নতুন ভোটার তার তাপসে মুগ্ধ এবং তারা মনে করছে তাপস তরুণের আইকন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে এই তরুণ ভোটারদের সংখ্যা ২৩ ভাগ। এরা যে কোন নির্বাচনের ফলাফলের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখাতে পারে। তাপসের নির্বাচনী প্রচারণা টিমের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় নারী এবং তরুণদেরকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। নারীরা যেন নির্বি’ঘ্নে ভোট দিতে পারে এবং তরুণরা যেন প্রথম ভোটদানে উৎসাহিত হন- সেটাই তাপসের নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম লক্ষ্য।
আর এই লক্ষ্য যদি অর্জিত হয়, তাহলে তাপস এই নির্বাচনে কোনরকম সং’শয় ছাড়াই অনেকদূর এগিয়ে যাবেন বলে নির্বাচনী বিশ্লেষকদের ধারণা।
তাপসের নির্বাচনী প্রচারণা টিমের সূত্রে জানা গেছে, তাপস ইতিমধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করেছেন, যা যে কোন দিন প্রকাশ করা হবে। যাতে নারীবান্ধব নগরের কথা এবং তরুণদের কর্মসংস্থানসহ নানা রকম সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করা হবে।
তবে সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, তাপস কী আশ্বাস দিবেন না দিবেন- সেটার দিকে তাকিয়ে থাকছেন না তারা। বরং তারা মনে করেন, এরকম একজন তরুণ ঢাকার দায়িত্ব নিবেন- এতেই তারা খুশী এবং তাপসের যে অতীত কর্মকাণ্ড তাতে তারা সহজেই তাপসের উপর আস্থা রাখতে পারছেন।
আর এ কারণেই এবারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নারী এবং তরুণরা দল-মত নির্বিশেষে তাপসের ভোট ব্যাংকে পরিণত হয়েছে এবং তাপসের নির্বাচনী টিম মনে করে, এই তরুণ এবং নারীরা যদি ভোটকেন্দ্রে যায়, তাহলে তাপসের পক্ষে ভোট বিপ্লব হবে।
2.7K