টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
বয়াতি শরীয়ত সরকারের পরিবারের সদস্যদের ‘একঘরে’ করে রেখেছে তার নিজ গ্রামের মসজিদের ইমাম ফরিদ হোসেন ও কয়েকজন মাতব্বর। এতে গ্রেপ্তার হওয়া এই বয়াতির পুরো পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তার স্ত্রী শিরিন বেগম, পুত্র অনিক (১২) ও যমজ দুই কন্যা অনিকা (৭) ও কনিকা (৭) ঘর থেকেও বের হতে ভ’য় পাচ্ছে। এই অবুঝ শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে।
বয়াতির ভাই মারফত আলী অভিযোগ করেন, গ্রাম্য কিছু মাতব্বর এবং মসজিদের ইমাম ফরিদ হোসেন তাদের জি’ম্মি করে রেখেছে। এদিকে বয়াতি শরীয়ত সরকারকে মামলা থেকে অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে মানিকগঞ্জ, সিংগাইর, রাজবাড়ি, রাজশাহী ও রাজধানী ঢাকায় মানব-বন্ধন ও প্র’তিবাদ সমাবেশ করেছেন বাউল শিল্পী ও বিভিন্ন সংগঠন।
মানিকগঞ্জে একটি গানের আসরে ধর্ম বিষয়ে বক্তব্যের জেরে অভিযোগ পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আগধল্যা গ্রামে তার বাড়ি। গত শুক্রবার আগধল্যা দারুস সুন্নাত হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও আগধল্যা মধ্যপাড়া মসজিদের ইমাম মাওলনা মো. ফরিদ হোসেন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ঐ দিন রাতে বয়াতি শরিয়ত সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহামন জানান।
গ্রেপ্তারের পর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে গত শনিবার টাঙ্গাইল চিফ জুডিসিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত মঙ্গলবার তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা করা হয়েছে বলে আজ বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।
এর আগে বয়াতি শরিয়ত সরকারকে গ্রেপ্তার ও সাজার দাবিতে ইমামের উ’স্কানিতে মুসল্লিরা প্র’তিবাদ করে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি মো. সায়েদুর রহমান বলেন, মামলার পর বয়াতি শরিয়ত সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসা’বাদ করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান বয়াতি শরিয়ত সরকারের পরিবারকে পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
1.4K