সময় এখন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ইতালি যাচ্ছেন। এ সফরে সামরিক, বাণিজ্য, অভিবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী ওই সফর করবেন। টানা ৩য় দফায় সরকার গঠন করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইউরোপে এটিই হবে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। ওই সফরে বাংলাদেশ তার গুরুত্ব তুলে ধরে ইউরোপকে রাজনৈতিক বার্তা দিতে পারে। ওই সফরের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রস্তুতি চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা জোরদার করতে চায় ইতালি। তবে বাংলাদেশ এ বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে। জাতীয় স্বার্থের দিকে দৃষ্টি দিয়েই বাংলাদেশ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সমরা’স্ত্র এবং এ সংক্রান্ত প্রযুক্তিতে বিশ্বে অন্যতম অগ্রসর রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত ইতালি। আর সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশও সমরা’স্ত্র ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে বরাদ্দ বাড়িয়েছে। সংগ্রহ করছে উন্নত সব প্রযুক্তি। তাই সামরিক বিষয়ে ইতালি আগ্রহী। তবে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে সামরিক খাতে দ্বিপক্ষীয় কোনো চুক্তি সই করার ব্যাপারে এখনো নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়নি।
যদিও জানা গেছে, আসন্ন সফরে ‘ফরেন অফিস কনসালটেশন’ (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা), ফরেন সার্ভিস একাডেমি পর্যায়ে সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় খাতে সহযোগিতার বিষয়ে কয়েকটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
সূত্র মতে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতালি সামরিক খাতের পাশাপাশি জ্বালানি খাতেও সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর লন্ডন সফরকালে ইউরোপীয় দেশগুলোতে দায়িত্বরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে দূত সম্মেলন করেছিলেন। সেই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরালো হওয়ার সুযোগ আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপ থেকেও উচ্চ পর্যায়ের সফর প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।
572