আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্টের সঙ্গে চরম সংঘা’তের মুহূর্তে মহাকাশ বিজয়ের পথে হাঁটচে ইরান। জানা গেছে, শিগগিরই একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাতে যাচ্ছে তেহরান।
অত্যাধুনিক ওই কৃত্রিম স্যাটেলাইটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাফর’। ইরানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই স্যাটেলাইট তৈরি করা হয়েছে। ইরানের মহাকাশ সংস্থা আইএসএ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, ইরানের বিজ্ঞানীদের দেড় বছরের প্রচেষ্টায় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। ৯০ কেজি ওজনের সেই কৃত্রিম উপগ্রহে রয়েছে ৪টি কালার ক্যামেরা। এসব ক্যামেরা ভূপৃষ্ঠের ছবি ধারণ করে তা ভূপৃষ্ঠে থাকা কন্ট্রোলরুমে পাঠাবে।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ইরানের তৈরি পায়াম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে সেই মিশন ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যায়ে স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে পৌঁছতে পারেনি।
আরেকবার মহাকাশ বিজয়ের ছক কষছে ইরান। নতুন জাফর স্যাটেলাইটটি আকার ও ওজনের দিক থেকে পায়াম স্যাটেলাইটের মতো হলেও এতে নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। জাফর স্যাটেলাইটটি উচ্চমাত্রার রেজ্যুলেশনে ছবি তুলতে সক্ষম।
এর আগে ২০০৯ সালে প্রথম উমিদ বা আশা নামের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায় ইরান। ইরানের বিজ্ঞানীরা নিজেরাই সেটি তৈরি করেন। একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে স্যাটেলাইটটি।
এরপর ২০১০ সালে মানুষ যেতে পারে এমন মহাকাশযান মহাকাশে পাঠায় দেশটি। সেই মহাকাশযান পাঠানোর জন্য কাভেশগার বা অভিযাত্রী-৩ নামের রকেট ব্যবহার করা হয়।
২০১৫ সালে ফজর বা উষা নামে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠায় ইরান। এটি উঁচুমানের ছবি তুলে তা পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে। এবার নতুন স্যাটেলাইট সফলভাবে পাঠাতে পারলে মহাকাশে ব্যাপক দখ’ল থাকবে ইরানের।
সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সৃষ্ট উত্তে’জনায় নতুন করে রসদ যোগাবে ইরানের এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। তবে এই প্রস্তুতি নিয়ে সতর্ক রয়েছে দেশটি। যেন কোনোভাবেই কোনো অপ’শক্তি এই উৎক্ষেপণে বাধা দিতে না পারে।
144