সময় এখন ডেস্ক:
কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রকৌশল দক্ষতায় সবার উপরে অবস্থান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কন্টিনজেন্টের। সক্ষমতার তুলনায় দ্বিগুণ অবকাঠামো গড়ে চীন, ইন্দোনেশিয়া ও নেপাল কন্টিনজেন্টকে পেছনে ফেলে অর্জন করেছে মিশন প্রধানের প্রশংসাপত্রও। তাও আবার পরপর ৩ বার।
কঙ্গোর গোমা এয়ারপোর্টে দক্ষিণ আফ্রিকা অ্যাভিয়েশন ইউনিটের পুরো অবকাঠামো গড়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কন্টিনজেন্ট। এখনো ছোট-বড় যে কোনো সংস্কারে ভরসা বাংলাদেশই।
দক্ষিণ আফ্রিকার শান্তিরক্ষী মেজর মুনজেলিলা বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা আমাদের জন্য যা করেছে তার প্রশংসা করতেই হবে।
মরক্কোর সেনাবাহিনীর বিশেষ ব্যাটালিয়ন মরআরডিবির জন্য সব ধরনের অবকাঠামো তৈরির দায়িত্বও বাংলাদেশের। ইউক্রেন অ্যাভিয়েশন ইউনিটের ডাম্পিং স্টেশন তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কন্টিনজেন্ট। এমনকি এই কন্টিনজেন্ট গোমা প্রদেশে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত যে কোনো দেশের পরিবহনের দেখভালও করছে সুনামের সাথে।
কঙ্গোর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর মাহমুদা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নিয়োজিত যে কোনো দেশের পরিবহনের দেখভাল করছে সুনামের সাথে।
কঙ্গো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সক্ষম হয়েছি।
জানা গেল বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের সাফল্যের পেছনে পেশাদারিত্বই মূল। জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তাই স্বীকার করলেন।
কঙ্গো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহীন বলেন, কঙ্গোতে যে ৪টি মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার কন্টিনজেন্ট রয়েছে, কর্ম দক্ষতার বিচারে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার কন্টিনজেন্ট বরাবরের মতো এবারও প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
কঙ্গো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ডেপুটি সেক্টর কমান্ডার অরুণ আওয়াস্তি বলেন, অনেকগুলো দেশের মধ্যে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব অসাধারণ।
শুধু সামরিক অঙ্গনে নয়, সাধারণ মানুষের কতটা কাছের বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা তার আঁচ পাওয়া গেল কঙ্গোর একটি স্কুলে এসে। কঙ্গোলিজ এক ছাত্র বাংলা ভাষায় জানায়, আমার বাড়ি ঘর কিছু ছিল না স্যার। আমি লেখাপড়া করতে পারিনি। বাংলাদেশের লোক এসে আমার লেখাপড়া ব্যবস্থা করেছে।
কঙ্গোতে এমন উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা অগণিত।
সময় টিভির সৌজন্যে ভিডিও:
17.7K