স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক:
গাইনোকোলজিস্ট (স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ) ডা. নওশিন শারমিন পূরবী বলেছেন, অনুমোদন’হীন মাত্রার বিষা’ক্ত রাসায়ানিক ব্যবহার করে তৈরি করা মশার কয়েল প্রজন’ন স্বাস্থ্যের ওপর মা’রাত্মক ক্ষ’তিকর প্রভাব ফেলছে।
এসব কয়েলের ধোঁয়ায় মশা ম’রছে ঠিকই, কিন্তু তা মানুষের প্রজন’ন ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। গর্ভপা’তের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরুষের শু’ক্রানু কমে যাচ্ছে। প্রিম্যাচিউরড বাচ্চার জন্ম’হার বেড়ে গেছে।
শনিবার ইডব্লিউএমজিএল কনফারেন্স রুমে দেশের একটি শীর্ষ দৈনিক পত্রিকা কর্তৃক আয়োজিত অনুমোদন’হীন বিষা’ক্ত মশার কয়েল: স্বাস্থ্য ঝুঁ’কিতে ভোক্তারা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. নওশিন শারমিন পূরবী বলেন, এসব কয়েলের ধোঁয়া চোখে কম দেখা, মাথা ব্যাথাসহ নানা সমস্যার জন্ম দিচ্ছে। মশা নানা রোগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি সিটি কর্পোরেশনের নীতি নির্ধারকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, দয়া করে মশা মারতে পানি ছিটাবেন না, যথাযথ ওষুধ ছিটান।
এ সময় তিনি বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে মশার কয়েলের ক্ষ’তিকর দিকগুলো তুলে ধরেন।
প্রখ্যাত সাংবাদিক ও পত্রিকা সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল জ্যাকব, ক্যাব’র চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. শামসুজ্জামান, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এম এম সালেহ ভূইয়া,
শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ, জাতীয় বক্ষব্যাধী ইনস্টিটিউট এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোস্তাফা হোসেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক. ডা. মনিলাল আইচ লিটু, বিএসটিআই এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল হক, র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার, এ সি আই লিমিটেড এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আলমগীর, পরিবেশ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, ঢাকা জেলার ভেজাল বিরো’ধী অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানবীর মুহম্মদ আজিম প্রমুখ।
137