আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অ’বৈধভাবে আমদানি হওয়া প্লাস্টিক ব’র্জ্য পুনরায় সেসব দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণার পর ১৫০ কন্টেইনারে করে ৩ হাজার ৭৩৭ মেট্রিক টন ব’র্জ্য ১৩টি দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও।
গত বছরের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত এসব প্লাস্টিক ব’র্জ্য ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ কন্টেইনার ব’র্জ্য গেছে ফ্রান্সে, ৪২ কন্টেইনার যুক্তরাজ্যে, ১৭ কন্টেইনার যুক্তরাষ্ট্রে, ১১টি কানাডায়, ১০টি স্পেনে এবং বাদবাকি ব’র্জ্য হংকং, জাপান, সিঙ্গাপুর, পর্তুগাল, চীন, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং লিথুনিয়ায় গেছে বলে জানান মালয়েশিয়ার পরিবেশমন্ত্রী।
মালয়েশিয়া ‘বিশ্বের ময়লার ভাগাড়’ হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মন্ত্রী ইয়েও বে ইন। এ বছরের মাঝামাঝিতে আরো ১১০ কন্টেইনার ব’র্জ্য ফেরত পাঠানো হবে এবং এর মধ্যে ৬০টি কন্টেইনার যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্কাই নিউজ জানিয়েছে, চীন প্লাস্টিক ব’র্জ্য আমদানি নিষি’দ্ধ করার পর ২০১৮ সাল থেকে মালয়েশিয়া হয়ে ওঠে এসব ব’র্জ্যের অন্যতম ঠিকানা। লাইসেন্স ছাড়াই দেশটিতে গজিয়ে ওঠে প্লাস্টিক ব’র্জ্য রিসাইক্লিংয়ের (পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা) বেশকিছু কারখানা।
এরপর মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ এসব ব’র্জ্য রপ্তানিতে জড়িত দেশগুলোকে চিহ্নিত করে এবং গত বছর হাজার হাজার টন প্লাস্টিক ব’র্জ্য ফের সেইসব দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে ঘোষণা দেয়। সে সময় ভর্ৎ’সনার সুরে পরিবেশমন্ত্রী বলেছিলেন, যে কোনো উন্নত দেশের নাগরিকদের মত মালয়েশিয়ার নাগরিকদেরও টেকসই সম্পদ, বিশুদ্ধ পানি, বাতাস ও পরিবেশের অধিকার আছে।
মালয়েশিয়া বিভিন্ন বন্দর দিয়ে ব’র্জ্য চোরাচালান রো’ধ করা এবং ২শ’টি প্লাস্টিক ব’র্জ্য রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধের পদক্ষেপও এরই মধ্যে নিয়েছে। তাছাড়া, যেসব ব’র্জ্য ফেরত দেওয়া হয়েছে সেগুলো রপ্তানি ও আমদানীকারকদের অর্থায়নেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মালয়েশিয়া সরকার ব’র্জ্য পাঠানোর জন্য একটি পয়সাও খরচ করেনি এবং করবেও না বলে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী। মালয়েশিয়ায় কোনো ব’র্জ্য রপ্তানি করা হলে তা কোনোরকম ছাড় না দিয়েই ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।