সময় এখন ডেস্ক:
বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রীকে ই-পাসপোর্ট হস্তান্তর করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, জার্মান দূতাবাস ঢাকার রাষ্ট্রদূত পিটার।
ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান অঙ্গীকার। সে লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এবার আরও ১ ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট চালুর মধ্যে দিয়ে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু করল বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে দেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হয়। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রদানের ঘোষণা দেন। এজন্য জার্মানির প্রতিষ্ঠান ভেরিডসের সঙ্গে চুক্তি করে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
চুক্তি অনুযায়ী ৩ কোটি ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। যার মধ্যে ২০ লাখ জার্মানিতে তৈরি এবং বাকি ২ কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট বই মুদ্রণের জন্য কাঁচামাল সরবরাহ করবে। ই-পাসপোর্ট বই ছাপার যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
ই-পাসপোর্ট হয়েছে কি-না, যেভাবে জানবেন
প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পাসপোর্ট অফিস থেকে এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে।
আজ থেকে অধিদপ্তরের কার্যালয় বা ঘরে বসে ই-পাসপোর্টের আবেদন করা যাবে। আবেদনের পর জাতীয় পরিচয়পত্র ও এনআইডিসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের জন্য পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে।
পাসপোর্ট আবেদন কী পর্যায়ে আছে তা যেভাবে জানবেন
প্রথমে ই-পাসপোর্টের ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে। এরপর ওয়েবসাইটে ঢুকে চেক অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস (check application status)-এ ক্লিক করতে হবে।
এরপরের পেজটিতে গিয়ে পাসপোর্ট আবেদনের সময় পাওয়া স্লিপের অ্যাপ্লিকেশন আইডি অথবা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার আইডি নম্বরটি চাপতে হবে।
নিচে আবেদনকারীর জন্ম তারিখ (দিন, মাস, সাল) দিয়ে ‘চেক’ (check) বাটনে ক্লিক করলেই ই-পাসপোর্ট আবেদন কোন পর্যায়ে আছে তা জানা যাবে।