বিশেষ প্রতিবেদন:
মার্কিন বিমান এবং অ’স্ত্র নির্মাতা সংস্থা বোয়িং অফিশিয়ালি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট অফ আর্ট এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচি লংবো অ্যাটাক হেলিকপ্টার বিক্রির কথা নিশ্চিত করেছে। প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সামরিক পত্র পত্রিকাতেও।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর বরাত থেকে আরও জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারি ২০২০ইং তারিখে বোয়িং এর হেলিকপ্টার বিক্রয় শাখার সিনিয়র ম্যানেজার টেরি জেমিন্সন যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ’স্ত্র সরবরাহ ও বিক্রয় শাখার সাথে যুক্ত রয়েছেন; একইসাথে সারাবিশ্বে বোয়িং এর অ্যাটাক হেলিকপ্টার ও কার্গো হেলিকপ্টার এর মার্কেটিং এবং বিক্রির সাথে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত আছেন- তিনি এক বিবৃতিতে জানান, বোয়িং বাংলাদেশকে এএইচ-৬৪ই অ্যাটাক হেলিকপ্টার বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বোয়িং ইতিপূর্বে তাদের হেলিকপ্টার কেনার প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশ সরকার তা ইতিবাচক ভাবে নেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বলে। টেন্ডারে শর্ত পূরণ ও মূল্যায়ণ সঠিক হলে বাংলাদেশ অ্যাটাক হেলিকপ্টার ক্রয় করতে পারে। সেই অনুসারে বোয়িং এই টেন্ডারে অংশ নেয় এবং অন্যান্য অ্যাটাক হেলিকপ্টার বিক্রেতা সংস্থাগুলোকে পেছনে ফেলে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক মুল্যে এই টেন্ডার জিতে নেয়।
টেরি জেমিন্সন জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন মিলিটারি সেলস চুক্তির অধীনে তারা বাংলাদেশকে এই হেলিকপ্টারগুলো সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে এবং ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সাথে এ ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রগতি সম্পন্ন করেছেন।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির (বাংলাদেশ) সাথে ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার সরবরাহের ব্যাপারে বোয়িং আশাবাদী। বিশ্বব্যাপী
প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, ১৫টি দেশের সেনাবাহিনীতে প্রায় ১ হাজার ২০০টি বোয়িং এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচির বিভিন্ন সংস্করণের হেলিকপ্টার বিক্রয় করেছে তারা। ফরেন মিলিটারি সেলস এর অধীনে এটি বাংলাদেশে তাদের অফার করা প্রথম অ’স্ত্র চুক্তি।
বোয়িং আশাবাদী খুব শীগ্রই এ সংক্রান্ত বাকি সকল কাজ সম্পাদন হবে।
বোয়িং এর এই কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, বোয়িং অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলকভাবে এই টেন্ডারটি জিতে নিয়েছে যেখানে মূল আকর্ষণ ছিল বোয়িং এর টেকনোলজিক্যাল অ্যাডভান্টেজ এবং প্রতিযোগিতামূলক মুল্য।
© ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম