বান্দরবান প্রতিনিধি:
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি পপি ক্ষেত ধ্বং’স করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রুমা উপজেলার কেওক্রাডং পাহাড় এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি তারা।
র্যাব-৭ এর কর্মকর্তা মশিউর বলেন, রুমা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমটার দূরে কেওক্রাডং পাহাড়ের আশপাশে গভীর জঙ্গলে প্রায় ৭ একর জমিতে ৪টি ক্ষেতে পপি চাষ হচ্ছিল। এসব ক্ষেত থেকে প্রায় ৬০ কেজি পপির রস উদ্ধার করা হয়। পরে পপি ক্ষেত ও রস ধ্বং’স করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, র্যাব থেকে বিষয়টি এখনও আমাদের জানানো হয়নি, মামলা করলে রুমা থানায় করা হবে।
প্রসঙ্গত, বান্দরবানের রুমা, থানচি ও আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় সীমান্ত অ’রক্ষিত থাকার কারণে মিয়ানমারের বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠি পপি চাষ করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে যৌথ অভিযানে পপি বাগান ধ্বং’স করে আসছে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সর্বশেষ গত বছরের ৬ মার্চ সেনা সদস্যরা বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের লারনিং পাড়ায় ৩৫ শতক জমির পপি বাগান ধ্বং’স করে।
খাগড়াছড়িতে ২০০ বিঘা জমির গাঁ’জা ক্ষেত ধ্বং’স
খাগড়াছড়িতে প্রায় ২০০ বিঘা গাঁ’জা ক্ষেত ধ্বং’স করেছে সেনাবাহিনী। মহালছড়ি জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে মাটিরাঙ্গা উপজেলার ধল্যাছড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৫-৪০টি গাঁ’জা ক্ষেত শনাক্ত করে ধ্বং’স করে সেনাবাহিনী।
অভিযান প্রসঙ্গে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সন্ত্রা’সী গোষ্ঠী নিজেদের অ’স্ত্র ক্রয় ও সাংগঠনিক খরচ মেটানোর জন্য নতুন কৌশল হিসেবে সম্প্রতি দুর্গম এলাকায় মা’দক চাষ শুরু করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালানো হয়। পরে ড্রোন ব্যবহার করে দুর্গম পাহাড়ে ৩৫-৪০টি গাঁ’জা ক্ষেত শনাক্ত করে ধ্বং’স করা হয়। এ সময় ধল্যাছড়া গ্রামের ২৪টি বসতবাড়ি জনমানবশুন্য হয়ে পড়ে।
আইএসপিআর জানায়, এই ক্ষেতগুলো থেকে প্রায় ৪০ টনের মতো গাঁ’জা উৎপাদিত হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ১শ’ কোটি টাকারও বেশি।
সেনাবাহিনীর মহালছড়ি জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, দুর্গম এলাকায় সাধারণ মানুষদের ভ’য়ভীতি প্রদর্শন করে গাঁ’জা চাষে বাধ্য করা হচ্ছে। আগামী ৩ দিন আমাদের অভিযান অ’ব্যাহত থাকবে। অভিযানে ড্রোন ব্যবহার করে দুর্গম এই এলাকায় অ’বৈধ গাঁ’জা ক্ষেতগুলো শনাক্ত করা হবে।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর মহালছড়ির কলাবুনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৭শ’ গাঁ’জা গাছ ধ্বং’স করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে ২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
172