আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের কারণে ৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোমবার থেকে চীনের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করল কাতার এয়ারওয়েজ। বিমান সংস্থাটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেশ কিছু দেশে কড়া বিধিনি’ষেধের কারণে আমরা সীমাহীন ভো’গান্তির শি’কার হচ্ছি। সে কারণে চীনের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত ফ্লাইট চালু হবে না।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রা’ন্ত হয়ে চীনে মৃ’তের সংখ্যা বেড়ে ৩০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা আজ রবিবার জানিয়েছে, সে দেশে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩৮০ জন এ ভাইরাসে আক্রা’ন্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে ৪৫ জন মা’রা গেছে এবং করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করিয়েছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ। তার মধ্যে ২ হাজার ৫৯০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রা’ন্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
চীনে বর্তমানে ১ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ৩২৮ জনকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
ভাইরাস টেস্টে উত্তীর্ণ হলেই বিদেশি ক্যাপ্টেনরা চট্টগ্রামে প্রবেশ করতে পারছেন
চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে আসা জাহাজ থেকে নেমে বিদেশি ক্যাপ্টেন-প্রকৌশলী যারা চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করছেন তাদের শতভাগ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। বন্দর গেটে স্থাপিত ইনফ্রায়েড থার্মোমিটার দিয়ে তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে; পরে করোনা ভাইরাস লক্ষণসমূহ পরীক্ষার পর নিরাপদ মনে হলেই বন্দরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
একইসাথে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে লাগোয়া জাহাজগুলোতে করোনা ভাইরাস শনাক্তে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু বহির্নোঙরে জাহাজগুলোতে থাকা ক্যাপ্টেন-প্রকৌশলীদের এই ধরনের কোন পরীক্ষার আওতায় আনা হয়নি।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে আসা জাহাজের নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজটি করে থাকে বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। একইসাথে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে আসা যাত্রী-ক্যাপ্টেনদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজটিও করে থাকে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধীন এই বিভাগ।
জানতে চাইলে বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ১ নম্বর গেটে ইনফ্রায়েড থার্মোমিটার দিয়ে প্রত্যেক বিদেশি ক্যাপ্টেনদের করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার কাজ হচ্ছে। শুক্রবার থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় শুধু চীন নয়; সবদেশের নাগরিকদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার ১০ জন, শনিবার ৩৬ জন এবং রবিবার ৫৪ জন ক্যাপ্টেন-প্রকৌশলীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি। সেখানে নিশ্চিত হওয়ার পরই শহরে ঢোকার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা করা হচ্ছে।