নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া চৌধুরী ও তার স্বামী শহর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমন ওরফে মতি সুমনকে নিয়ে নরসিংদীজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। রাজনীতির অন্তরালে অ’স্ত্র, মা’দক ও দেহ ব্যবসায় জড়িত থাকার দায়ে গতকাল শনিবার র্যাব তাদের আটক করে।
নারী নেত্রীর অন্তরালে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কথা বের হতে শুরু হয়েছে। মুখ খুলতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। সন্ত্রা’স, চাঁদা’বাজি ও পতি’তাভিত্তিক ব্যবসার পাশাপাশি ব্ল্যাকমেল করে গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সাম্রাজ্য। অ’নৈতিক কার্যকলাপের ভিডিও ধারণ করে ধণাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াই তাদের প্রধান পেশা।
পাপিয়া ও সুমনের নেপথ্যের কাহিনি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সন্ত্রা’সী দম্পতির কথা এখন ‘টপ অব দ্য টাউন’। এরই মধ্যে রোববার র্যাবের একটি দল তাদের বাড়ি অভিযান চালিয়ে অ’স্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মা’দক উদ্ধার করে। অপরদিকে অ’নৈতিক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়া যুব মহিলী লীগের শামীমা নুর পাপিয়াকে আজীবনের জন্য বহি’ষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগ।
স্থানীয় রাজনীতিবিধ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০০ সালের দিকে নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমনের উত্থান শুরু। শৈশব থেকেই চাঁদা’বাজি সন্ত্রা’সী কর্মকাণ্ড ও ব্ল্যাকমেল ছিল সুমনের প্রধান পেশা। দূরদর্শী চতুর ও মাস্টারমাইন্ড সুমন রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। ২০০১ সালে পৌরসভার কমিশনার মানিক মিয়াকে যাত্রা প্যান্ডেলে গিয়ে হ’ত্যার পর তিনি আলোচনায় আসেন। এরই মধ্যে পাপিয়া চৌধুরীকে বিয়ে করেন সুমন। এরপর তার স্ত্রী পাপিয়াকে রাজনীতিতে কাজে লাগান।
প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেন হ’ত্যাকাণ্ডের পর দুর্বৃ’ত্তায়ন রোধকল্পে বর্তমান মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল সন্ত্রা’সী সুমন ও তার স্ত্রী পাপিয়া চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে আসতে নিষে’ধ করেন। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিভা’জনকে কেন্দ্র করে পাপিয়া চৌধুরী ও তার স্বামী মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমন সদর আসনের এমপি লে. কর্নেল (অব.) মো. নজরুল ইসলামের (বীর প্রতীক) বলয়ে যোগ দেয়। পাশাপাশি তাদের ঢাকা সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে।
এরই মধ্যে ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর জেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে তৌহিদা সরকার রুনা সভাপতি ও পাপিয়া চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রয়াত নেতা আসাদুজ্জামানের স্মরণসভায় বিশাল শোডাউন আর শত শত লোক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিটি মিছিল ও সভায় তারা যোগ দেন। এছাড়া স্থানীয় এমপির সভা-সমাবেশে তাদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। রাজনীতিতে তারা স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলামের সমর্থক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
এদিকে অ’সামাজিক কার্যকলাপ ও অ’বৈধ কর্মকাণ্ড এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার পাপিয়াকে গতকালই দল থেকে আজীবনের জন্য বহি’ষ্কার করা হয়েছে। দুপুরে যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়।
১ Comment
PRIME MINISTER SHEAKH HASINA, TILL NOW DOING THE MISTAKE WHO ARE THE ACTUAL PATRIOTS FOR THE BANGLADESH? TIME IS SHORT WE HAVE TO DO LOTS FOR THE BETTERMENT OF THE COUNTRY.