৩৬ বছর আগে সরকারি চাল লোপাট করে পলাতক খাদ্য কর্মকর্তার ৭ বছর জেল

0

খুলনা প্রতিনিধি:

খুলনায় উপ-খাদ্য পরিদর্শক হাবিবুর রহমানকে ৭ বছরের জেলদিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৮৭ হাজার ৯৫ টাকা জরি’মানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদ’ণ্ড দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জিয়া হায়দার এ রায় প্রদান করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাবিবুর রহমান পলাতক রয়েছেন। তিনি ১৯৮৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮৫ সালের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা সিএসডি গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জানা যায়, দায়িত্ব পালনকালে তিনি সিএসডি গোডাউন (পি-৩৩) থেকে ১১ হাজার ৮৯৮ কেজি আমদানিকৃত চাল লোপাট করেন। যার মূল্য প্রায় ৮৭ হাজার ৯৫ টাকা। এ ঘটনায় দুদক মামলা করলে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। এরপর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।

কাজ না করেই ১১৫ মেট্রিক টন গম লোপাট করলেন ৩ কর্মকর্তা

কাজ না করেই ১১৫ মেট্রিক টন গম উত্তোলন করে বিক্রির পর টাকা হাতিয়ে নিলেন খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা।

বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন মকবুল গাজী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে প্রকল্পের কাজের কথা বলা হয়েছে সেখানে বর্তমানে মাছের ঘের। কাজের নামে ১১৫ মেট্রিক টন গম উত্তোলন করে তা বিক্রি করে সব টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ৩ কর্মকর্তা।

লিখিত অভিযোগে বাগালী ইউনিয়নের গুপিরায়ের বেড় এলাকার কোনাই গাজীর ছেলে মকবুল উল্লেখ করেছেন, কয়রা উপজেলার ২নং বাগালী ইউনিয়নের মালিখালী আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাটির কাটার জন্য ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ২৩০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়। এই প্রকল্পের চেয়ারম্যান হলেন ইউপি সদস্য হোসনে আরা খাতুন।

তার সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা ও ঘুগরাকাটি খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা নুরুন্নবী সিদ্দিকী যোগসাজশ করে প্র’তারণা করেছেন। প্রকল্পের কাজ না করেই গত ২ ফেব্রুয়ারি ১১৫ মেট্রিক টন গম উত্তোলন করেন তারা। খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ২১ ফেব্রুয়ারি খুলনা থেকে ১১৫ মেট্রিক টন গম ঘুগরাকাটি গুদামে নিয়ে যান। ওসব গম গুদামে না নিয়ে নৌকা থেকে ট্রাকে তুলে দেন। পরে সেই গম বিক্রি করে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে গম বিক্রির ২২ লাখ টাকা লোপাট করেন তারা ৩ জন।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে সংবাদ না করার অনুরোধ জানিয়ে প্রকল্পের চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য হোসনে আরা খাতুন বলেন, কাজ না করেই গম উত্তোলন ঠিক হয়নি। তবে অচিরেই কাজ শুরু হবে।

এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। তবে কাজ শেষ না করে গম উত্তোলনের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

শেয়ার করুন !
  • 123
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!