খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনায় জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা জিল্লুর রহিম খান ও স্ত্রী মমতাজ খানকে কারাগা’রে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ (দায়রা জজ) আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে তাদের জামিন না-মঞ্জুর করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জিল্লুর রহিম খান খুলনা কাস্টম হাউসে অ্যাপ্রাইজার কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার বাদী দুদক খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফয়সাল কাদের বলেন, জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৬ সালে জিল্লুর রহিম খান ও তার স্ত্রী মমতাজ খানের সম্পত্তি অনুসন্ধান করে প্রায় ১৬ লাখ ১৫ হাজার ৬৫০ টাকার অ’বৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পত্তির তথ্য পায় দুদক।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২১ জুলাই সোনাডাঙ্গা থানায় মমতাজ খানকে আসামি করে মামলা হয়। পরে ওই মামলায় জিল্লুর রহিম খানকেও অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগ পত্র দেয় দুদক।
৩৬ বছর আগে সরকারি চাল লোপাট করে পলাতক খাদ্য কর্মকর্তার ৭ বছর জেল
খুলনায় উপ-খাদ্য পরিদর্শক হাবিবুর রহমানকে ৭ বছরের জেলদিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৮৭ হাজার ৯৫ টাকা জরি’মানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদ’ণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জিয়া হায়দার এ রায় প্রদান করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাবিবুর রহমান পলাতক রয়েছেন। তিনি ১৯৮৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮৫ সালের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা সিএসডি গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জানা যায়, দায়িত্ব পালনকালে তিনি সিএসডি গোডাউন (পি-৩৩) থেকে ১১ হাজার ৮৯৮ কেজি আমদানিকৃত চাল লোপাট করেন। যার মূল্য প্রায় ৮৭ হাজার ৯৫ টাকা। এ ঘটনায় দুদক মামলা করলে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। এরপর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।
2K