আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যাতায়াতের জন্য ভারতে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো ট্রেন। বিরাট এই দেশটির বিশাল জনগোষ্ঠী তাদের প্রাত্যহিক জীবনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য ট্রেনের ওপর বহুলাংশে নির্ভর করে। ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই সবার চেষ্টা থাকে আগগেভাগে টিকিট কেটে ফেলার।
আগে টিকিট কেটে ফেলার পর কোনো কারণে নির্ধারিত যাত্রা বাতিল করতে হলে অর্থাৎ ওই টিকিট বাতিল করতে হলে তার জন্য নির্ধারিত একটা চার্জ দিতে হয় যাত্রীকে। ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এরকম নিশ্চিত টিকিট বাতিল বাবদ ধার্য চার্জ ও ওয়েট-লিস্টেড টিকিট বাতিল না হাওয়ার কারণে ভারতীয় রেলওয়ের আয় হয়েছে ৯ হাজার কোটি রুপিরও বেশি।
তথ্য অধিকার আইনে এক ব্যক্তির জানতে চাওয়া তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্ময়কর এ তথ্য দিয়েছে ভারতের দ্য সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম। এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদেনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ বছরে সাড়ে ৯ কোটি যাত্রীর ওয়েট-লিস্টেড টিকিট বাতিল হয়নি। আর এর ফলে ভারতীয় রেলওয়ের ঘরে এসেছে ৪ হাজার ৩৩৫ কোটি রুপিরও বেশি লাভ। এছাড়াও এই সময়ের মধ্যে নিশ্চিত টিকেট বাতিল ফি বাবদ আয় হয়েছে ৪ হাজার ৬৮৪ কোটি রুপিরও বেশি।
এছাড়া এই সময়ে অনলাইন ও কাউন্টার থেকে টিকিট কেনা যাত্রীর সংখ্যাতেও বড় ধরনের পার্থক্য এসেছে। দেখা যাচ্ছে উল্লেখিত সময়ে ১৪৫ কোটি যাত্রী অনলাইনে এবং ৭৪ কোটি যাত্রী রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকেট কিনেছেন।
সুজিত স্বামী নামে যে ব্যক্তি তথ্য অধিকার আইনে এ তথ্য পেয়েছেন তিনি রাজস্থান হাইকোর্টে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। এতে বলা হচ্ছে ভারতীয় রেলওয়ের সংরক্ষণ নীতি বৈ’ষম্যমূলক।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অনলাইন এবং কাউন্টারের জন্য টিকেট সংরক্ষণ সম্পর্কিত নীতিমালা বৈ’ষম্যমূলক। রেলওয়ের অ’ন্যায্য আয় বন্ধে এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
73